১৭তম বর্ষে পদার্পণ করল দেশের জনপ্রিয় আধুনিক ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড স্পার্ক গিয়ার। এ উপলক্ষ্যে স্পার্ক গিয়ার তাদের সব ধরনের পণ্যে ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। 

আজ ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ক্রেতা এই ছাড় পাবেন ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ঢাকার আউটলেটসহ দেশের ১৭টি আউটলেট থেকে ডিসকাউন্টে পণ্য কিনতে পারবেন ক্রেতারা। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কেনাকাটা করতে পারবেন তারা। 

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই বিশেষ ছাড়ে মিলবে ছোট-বড় সবার জন্য মানসম্মত পোশাক। স্পার্ক গিয়ারের প্রতিটি পোশাক তৈরি হয়েছে আরামদায়ক ও মানসম্পন্ন কাপড়ে, তাই কিনতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে। নারীদের জন্য ছাড়ের তালিকায় রয়েছে নিত্যদিনের ব্যবহারের পোশাক থেকে শুরু করে পার্টি ও আউটডোর ফ্যাশন। এই তালিকায় থাকছে নিট ফ্যাশন টপস, এথনিক ওয়ান পিস, ট্যাঙ্ক টপস, লেগিংস, জেগিংস, এথনিক টু-পিস, বটম, ডেনিম, ট্রাউজার, কুর্তি, পালাজো এবং শীতের পোশাক।

পুরুষদের জন্য থাকছে ক্যাজুয়াল শার্ট, ডেনিম, চিনোস, পোলো টি-শার্ট, পাজামা, টি-শার্ট, ফরমাল শার্ট-প্যান্ট, স্যুট, ব্লেজার, টাই এবং বিভিন্ন এক্সেসরিজ।

শিশুদের জন্যও রয়েছে আলাদা আয়োজন। মেয়ে শিশুদের জন্য ফ্রক, পার্টি ফ্রক, প্যান্ট, থ্রি-পিস, সেট, লেগিংস ও টপস পাওয়া যাবে। ছেলে শিশুদের জন্য বয়েজ সেট, ডেনিম প্যান্ট, পোলো শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট, টি-শার্ট এবং শীতের বৈচিত্র্যময় পোশাক থাকবে।

পোশাকের পাশাপাশি তাদের শোরুমে মিলবে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রসাধনী। ছেলে ও মেয়েদের জন্য পারফিউম থাকছে, মেয়েদের প্রসাধনীতে রয়েছে ময়েশ্চারাইজার, টোনার, লিপস্টিক, নেলপলিশ, সেরাম, আইশ্যাডো, ব্লাশঅন, লিপবাম, হেয়ার অয়েল, ফেসওয়াশ, ক্রিম, লোশন ও শ্যাম্পু। 

এ ছাড়া গোল্ডেনরোজ ও প্যাস্টেলে মতো সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিপুল কসমেটিক্স পাওয়া যাবে। তবে কসমেটিক পণ্য ছাড়ের আওতার বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছে স্পার্ক গিয়ার কর্তৃপক্ষ।  

ঢাকায় গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা ও মিরপুরে স্পার্ক গিয়ারের আউটলেট রয়েছে। ঢাকার বাইরে বগুড়ায় দুটি আউটলেট (আরডি টাওয়ার জ্বলেশ্বরীতলা ও জজকোট এরিয়া), রাজশাহীতে কাদিরগঞ্জ ও আলুপট্টিতে দুটি শাখা, এছাড়া ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নোয়াখালী এবং যশোরেও স্পার্ক গিয়ারের শোরুম রয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে দেশের জনপ্রিয় এই ফ্যাশন ব্র্যান্ড। গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে শুরু থেকেই রুচিশীল পোশাক সরবরাহ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য আউটল ট

এছাড়াও পড়ুন:

ছেলেমেয়েকে ২০ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিলেন বাবা

নিজের দুই সন্তানকে ২০ কোটি টাকার সমমূল্যের শেয়ার উপহার দিলেন বাবা। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ক্রাউন সিমেন্টের উদ্যোক্তা–পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল তাঁর দুই সন্তানকে কোম্পানিটির ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ শেয়ার উপহার দিয়েছেন। এরই মধ্যে এই শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে আজ সোমবার উপহারের এই শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়টি জানিয়েছে ক্রাউন সিমেন্ট উদ্যোক্তা–পরিচালক আলমাস শিমুল। বর্তমানে তিনি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদেও রয়েছেন। জানা যায়, দ্বিতীয় প্রজন্মকে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের হাতের শেয়ারের একটি অংশ সন্তানদের মধ্যে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আলমাস শিমুল তাঁর ছেলে সায়হাম সাদিক পিয়াল ও মেয়ে শোভা সোহাকে ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ শেয়ার উপহার হিসেবে হস্তান্তর করেছেন। ঢাকার বাজারে আজ সোমবার ক্রাউন সিমেন্টের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৫১ টাকা। সেই হিসাবে ৪০ লাখ শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

শেয়ার উপহার দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আলমাস শিমুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ব্যবসায় সক্রিয় থাকতে থাকতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ব্যবসার উত্তরাধিকার হিসেবে যোগ্য ও দক্ষ করে তুলতে চাই। এ কারণে তাদের মধ্যে শেয়ারের ন্যূনতম মালিকানা হস্তান্তরের পাশাপাশি ব্যবসায়ও যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা দেশ ও কোম্পানির জন্য এখন থেকেই যোগ্য হয়ে উঠতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের ব্যবসার পরিধিও এখন অনেক বড় হয়েছে। তাই আমরা তাদের ওপর কিছু দায়িত্ব দিয়ে নতুন নতুন ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিতে বেশি মনোযোগী হতে চাই।’

বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উত্তরাধিকার নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি সহজে হয়ে থাকে শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে। বাংলাদেশেও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভালো কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ক্রাউন সিমেন্টের অন্য পরিচালকেরাও শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে তাঁদের একাধিক সন্তানকে ব্যবসায় যুক্ত করেছেন।

জানা যায়, আলমাস শিমুলের ছেলে সায়হাম সাদিক কানাডা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে এরই মধ্যে বাবার সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। আর মেয়ে শোভা সোহা মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করছেন।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিধান অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালক হতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হয়। তাই ক্রাউন সিমেন্টের দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধিদের পর্ষদে আসতে হলে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার তাঁদের হাতে থাকতে হবে। আর ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের এই শর্ত পূরণ করতে হলে বর্তমানে কোম্পানিটির ২৯ লাখ শেয়ারের দরকার হবে।

ক্রাউন সিমেন্ট ২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এটি শেয়ারবাজারে ভালো মানের কোম্পানি হিসেবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারের অর্থাৎ মালিকানার ৫২ শতাংশের বেশি রয়েছে উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। আর ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ শেয়ার। বাকি প্রায় ১৯ শতাংশ শেয়ারের মালিকানায় রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ