মাদারীপুরে দুটি স্কুলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের লুন্দি গ্রামের মালেক মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় ও সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের নবনির্মিত বহুতল ভবনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আরো পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ বাতিল

নেত্রকোণায় ৩ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষককে অব্যাহতি

এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো.

আখতারুজ্জামান (বুলবুল)। এ সময় দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান অপুসহ চার সদস্যের টিম উপস্থিত ছিলেন।

উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলী এবং স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তদারকিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করেছে মারুফ ইন্টারন্যাশনাল নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভবনগুলো নির্মাণে গুরুতর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘এরমধ্যে রাজৈরের মালেক মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভবনে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, পাইলিং ৭০ ফুট দেওয়ার কথা কিন্তু সেখানে ৩০ ফুট দেওয়া হয়েছে এবং টেন্ডারে ৫৪টি পাইলিং থাকলেও ৪৯টি পাইলিং করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘একই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে মস্তফাপুর ইউনিয়নের এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নবনির্মিত বহুতল ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। টেকনিক্যাল ও ল্যাব টেস্টের পর সবগুলো রিপোর্ট দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।’’ 

তিনি আরো জানান, মালেক মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩ তলা ভবনের জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা ও এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪ তলা ভবনের জন্য প্রায় ৪ কোটি বরাদ্দ করেছে সরকার। এ দুটি টেন্ডারের সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। হাতে পেলে যাচাই-বাছাই করে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা/বেলাল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য ন

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।

তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।

দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান