জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে আয়কর অনুবিভাগের নন-ক্যাডারে দশম গ্রেডে কর পরিদর্শকের ২৪২টি পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আজ রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব পদ পূরণের ক্ষেত্রে যদি আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকে, কোনো রিট বা মামলা বিচারাধীন থাকে, কোনো মামলার রায় বাস্তবায়নের বিষয় অপেক্ষমাণ বা প্রক্রিয়াধীন থাকে, তবে আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে বিধি অনুসারে শূন্য পদ পূরণ করতে হবে।

আরও পড়ুনপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫২৩ মার্চ ২০২৫

প্রাপ্ত প্রস্তাবে শূন্য পদের সংখ্যায় কোনো গড়মিল থাকার কারণে কোনো পদে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ পেলে সে ক্ষেত্রে ভুল তথ্য প্রদানকারী দায়ী থাকবে।

অর্গানোগ্রাম ও পদ সৃষ্টির আদেশে বর্ণিত পদনাম অনুযায়ী অনুমোদিত নিজস্ব নিয়োগবিধি অনুসরণ করে প্রতি গ্রেডের পদের বিপরীতে মঞ্জুরিকৃত সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদসংখ্যার ভিত্তিতে পদ পূরণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। এই ছাড়পত্রের বৈধতার মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর এবং ছাড়পত্রের মেয়াদের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

আরও পড়ুন৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন, আওতার বাইরে যাঁরা১৮ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধা স্টেশন মাস্টারকে কিলঘুষি মারা যুবক স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার 

গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রী মহিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। 

রবিবার (১৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার।

আনোয়ারুল হক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তারা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। 

জানা যায়, শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে গেলে স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম ও এক যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র আলোচনা, সমালোচনা শুরু হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মের নিচে রেললাইনের উপর ট্রেনের পাশে এক যুবক ও স্টেশন মাস্টার একে অপরকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন। এসময় ওই যুবকের স্ত্রীও সেখানে এগিয়ে আসেন। 

স্থানীয়রা জানান, প্রকাশ্যে এমন মারধরের ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি স্টেশনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সামনে ঘটলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেননি। স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে পুলিশের গায়ে পোশাক থাকলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। 

একজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য। তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে জানান, ঘটনার পর স্টেশন মাস্টার একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে অভিযুক্ত আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রীকে বগুড়া-সান্তাহার রুটে চলন্ত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকাল ১১টার দিকে তাদেরকে গাইবান্ধা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বিষয়টি জানতে স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা/মাসুম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ