তুরস্কের বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) কারাবন্দী ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। 

সিএইচপির একজন মুখপাত্র সোমবার এ ঘোষণা দেন। খবর: এএফপি

২০২৮ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরদোয়ান সরকারের কঠোর ধরপাকড়ের মধ্যেই ইমামোগলুকে প্রার্থী ঘোষণা করল সিএইচপি।

সিএইচপির এই সিদ্ধান্তের পরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়েছে। এরদোয়ান প্রশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে রাজধানী আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ দিনে ১ হাজার ১৩৩ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বার্তা সংস্থা এএফপির একজন ফটোসাংবাদিকসহ ১০ জন সাংবাদিকও রয়েছেন।

রোববার দলীয় প্রাইমারিতে ভোটাভুটি আয়োজন করে সিএইচপি। ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই ভোটে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয় দলটি। এতে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ভোট দেন, যাদের মধ্যে ১ কোটি ৩২ লাখের বেশি দলটির সদস্য নন। ভোটে ইমামোগলুই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন।

দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহযোগিতার অভিযোগে ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রোববার আদালত তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আদালতের এই রায়ের পর ইমামোগলুকে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদ থেকেও অপসারণ করা হয়েছে।

কারাগারে পাঠানোর আগে আইনজীবীদের মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় ইমামোগলু বলেন, ‘আমি একটি সাদা জামা পরেছি, যে জামায় তোমরা দাগ লাগাতে পারবে না। আমার একটি শক্তিশালী হাত রয়েছে, যা তোমরা মচকাতে পারবে না। আমি সামান্যতমও মাথা নত করব না। এই লড়াইয়ে আমি জয়ী হব।’

এদিকে ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা গণতন্ত্রের ওপর মারাত্মক আঘাত।’

বিরোধীদল সিএইচপি এই গ্রেপ্তারকে ‘রাজনৈতিক ক্যু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। দলের নেতারা জানিয়েছেন, ইমামোগলুর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত রস ক স এইচপ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২৬ হাজারের মতো শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে শুধু গাজা নগরীতে এই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এসব শিশুর জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।

গত মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকার মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম। মঙ্গলবারই ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছেন।

ইনগ্রাম বলেন, আগস্টে গাজায় প্রতি আট শিশুর একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত ছিল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ হার। গাজা নগরীতে এই অনুপাত প্রতি পাঁচে একজন। তিনি বলেন, গাজা নগরী থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক সরানো হচ্ছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের প্রাণনাশ হতে পারে। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের মুখে শহরের পুষ্টিকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

ইসরায়েলি সেনারা বলছেন, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ খাদ্য, ওষুধ ও তাঁবু পাবেন। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ঘোষিত ‘মানবিক আশ্রয়’ এলাকাগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইনগ্রাম বলেন, ‘গাজায় সাত শতাধিক দিনের যুদ্ধ-ধ্বংসযজ্ঞে প্রায় পাঁচ লাখ শিশুকে এক নরক থেকে আরেক নরকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে, যা অমানবিক।’

জাতিসংঘের হিসাবে, গাজা নগরী ও আশপাশের এলাকাগুলোর ১০ লাখ মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ভোটারদের আস্থা নিশ্চিত করা বিএনপির দায়িত্ব’
  • ভোররাতে রণক্ষেত্র: নরসিংদীতে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৫
  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কেমন সংবিধান চান, জানালেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন
  • বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ