মিয়ানমারের জোড়া ভূমিকম্পে বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির মান্দালয় শহরে একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে।

এদিকে, থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের ফলে রাজধানী ব্যাংককে একটি অসমাপ্ত ৩০ তলা ভবন ধসে পড়ার পর ৪৩ জন নির্মাণ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। খবর সিএনএন ও রয়টার্স।

স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের মান্দালয়ে রিখটার স্কেলে প্রথম দফায় ভূমিকম্প হয়। এর ১২ মিনিট পরে হয় আফটার শক।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, জোড়া কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ এবং ৬ দশমিক ৪। 

মিয়ানমারের সামরিক সরকার এখনো দেশটিতে ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেনি।

অপরদিকে, মিয়ানমারের ভূমিকম্পের প্রভাবে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে ব্যাংককে একটি অসমাপ্ত ৩০ তলা ভবন ধসে পড়ার পর ৪৩ জন নির্মাণ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

মায়ানমারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে কয়েকশ মাইল দূরে অবস্থিত চাতুচাক পার্কের কাছে ভবনটির ভেতরে পঞ্চাশ জন লোক ছিল।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, সাতজন পালিয়ে গেছেন এবং আরও ৪৩ জন আটকা পড়েছেন।

পুলিশের বরাত দিয়ে এএফপি বার্তা সংস্থা আরও জানিয়েছে যে ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প র

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ