বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বেরোবিসাস) পথশিশু, অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও শিক্ষকবৃন্দ ও সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের উপস্থিতিতে এসব সামগ্রী বিতরণ করে সংগঠনটি।

এ সময় সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, “ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। বেরোবিসাসের এ উদ্যোগের ফলে আমরা ধনী-গরিব সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করতে পারব।” 

রেজিস্ট্রার ড.

হারুন অর রশীদ বলেন, “ক্যাম্পাসে সবাই যখন বাড়ি চলে গেছে, তখনও সাংবাদিকরা ক্যাম্পাসে থেকে পথশিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে। তারা নিজেদের উপার্জন বা সামর্থ্যের মাধ্যমে অন্যের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি আশা করি, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”

উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, “সাংবাদিক সমিতি ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী ও ছোট্ট বাচ্চাদের মাঝে পাঞ্জাবি বিতরণ করে সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে। তারা যে আদর্শ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে তুলে ধরেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামীতেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি এ রকম দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে এবং দেশ ও জাতির কথা তুলে ধরবে। আমরা তাদের এ মহৎ কাজের জন্য সাধুবাদ জানাই।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ