যশোরে ঈদের দিন রাতে পটকা ফোটানো নিয়ে মারামারি, ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত
Published: 1st, April 2025 GMT
যশোর সদর উপজেলায় ঈদের রাতে পটকা (বাজি) ফোটানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পাগলাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম অলিদ হোসেন (২২)। তিনি সদর উপজেলার নওদাগ্রামের হৃদয় হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত অলিদের সহযোগী বহর আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (১৭), প্রতিপক্ষ লুৎফর মোল্লার ছেলে রিপন হোসেন (৪০), রিপনের ছেলে আপন (১৭) ও সাঈদের ছেলে শামীম হোসেন (১৭)। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় তরুণ রাশেদুল, আপন ও শামীম সন্ধ্যার পর পাগলাদহ গ্রামে বাজি ফোটাচ্ছিলেন। বাজির বিকট শব্দে এলাকাবাসী অস্থির হয়ে ওঠেন। এ সময় অলিদ ও আরিফ তাঁদের বাজি ফোটাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আপন ও শামীম মিলে অলিদ ও আরিফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অলিদকে মৃত ঘোষণা করেন। আরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
এদিকে অলিদ ও আরিফের স্বজনেরা আপন, রিপন ও শামীমকে মারধর করেন। তাঁরা আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত হোসেন বলেন, পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন।
দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত। তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা