যশোর সদর উপজেলায় ঈদের রাতে পটকা (বাজি) ফোটানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পাগলাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম অলিদ হোসেন (২২)। তিনি সদর উপজেলার নওদাগ্রামের হৃদয় হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত অলিদের সহযোগী বহর আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (১৭), প্রতিপক্ষ লুৎফর মোল্লার ছেলে রিপন হোসেন (৪০), রিপনের ছেলে আপন (১৭) ও সাঈদের ছেলে শামীম হোসেন (১৭)। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় তরুণ রাশেদুল, আপন ও শামীম সন্ধ্যার পর পাগলাদহ গ্রামে বাজি ফোটাচ্ছিলেন। বাজির বিকট শব্দে এলাকাবাসী অস্থির হয়ে ওঠেন। এ সময় অলিদ ও আরিফ তাঁদের বাজি ফোটাতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আপন ও শামীম মিলে অলিদ ও আরিফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অলিদকে মৃত ঘোষণা করেন। আরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে অলিদ ও আরিফের স্বজনেরা আপন, রিপন ও শামীমকে মারধর করেন। তাঁরা আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত হোসেন বলেন, পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া জেনারেটর উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া একটি জেনারেটর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মো. মিজানুর রহমান (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ। মিজানুরের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোল সোনাকান্দর গ্রামে।

আরও পড়ুননিহতের বাবার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২, দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ নিয়ে দুই মামলায় মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দের নুরাল পাগলার দরবারে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় মিজানুর রহমান জেনারেটর চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিজানুরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানুরকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো ও হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে রাজবাড়ীর আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুননুরাল পাগলার দরবারে হামলায় হত্যা মামলা, মসজিদের ইমামসহ চারজন গ্রেপ্তার০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ওই দিন পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে প্রায় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে ৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। এই মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যা ও কবর থেকে লাশ তুলে মহাসড়কে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। ওই মামলায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত মিজানুরসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ