চট্টগ্রামের রাউজানে ‘জমি নিয়ে বিরোধের জেরে’ এক প্রকৌশলীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের তীতা গাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ নুরুল আলম (৪০) আলম। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা। তবে চট্টগ্রাম নগরে বসবাস করতেন। অন্যদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন তীতা গাজীপাড়ার দিদারুল আলম ও নজরুল ইসলাম। তাঁরা নরুল আলমের সৎভাই।

গতকাল সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলেই মরদেহটি পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপর মামলা করবে পরিবার, এমনটিই জানা গেছে।

পুলিশ, কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই দিদারুল আলম ও নজরুল ইসলামের সঙ্গে নুরুল আলমের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল ঈদের পরদিন চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়িতে যান নুরুল আলম। গতকাল দুপুরে এ বিষয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দিদারুল ও নজরুল মিলে নুরুল আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে সেখানেই মারা যান নুরুল আলম।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ভূইঁয়া জানান, জায়গাজমি বিরোধ থেকে ওই ব্যক্তিকে কয়েকজন মিলে হত্যা করেছে। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাউকে পায়নি। তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। মামলা দিলে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ল আলম গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ