ঈদুল ফিতরে বেশ কটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম দুটো সিনেমা হলো শাকিব খানের ‘বরবাদ’ ও আফরান নিশোর ‘দাগি’। দুই বছর আগের মতো এবারো শাকিব-নিশো প্রেক্ষাগৃহে মুখোমুখি হয়েছেন। 

এরই মধ্যে সামনে এসেছে শাকিব-নিশোর পুরোনো দ্বন্দ্ব। অর্থাৎ ২০২৩ সালে নিশোর একটি মন্তব্য নিয়ে এই দ্বন্দ্বের সূচনা। বাকযুদ্ধে জড়িয়েছিলেন এই দুই তারকার ভক্তরাও। পুরোনো সেই দ্বন্দ্ব নিয়ে শাকিব খানকে বিশেষ বার্তা দিলেন আফরান নিশো। একটি সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন এই দাপুটে অভিনেতা।     

আলাপচারিতার শুরুতে নিজের অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমা নিয়ে কথা বলেন আফরান নিশো। সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “যারা সিনেমা হলে গিয়ে ‘দাগি’ দেখেছেন, তারা গঠনমূলকভাবে সমালোচনা করুন। পছন্দ না হলেন, ভুলগুলো ধরিয়ে দিন। পুরো টিম জানতে চাই আমাদের কোথায় কোথায় ভুল-ভ্রান্তি রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে পর্দা কাঁপাচ্ছে শাকিবের ‘বরবাদ’

শাকিবের হিসু করার দৃশ্যের জবাব নাই: মালেক আফসারী

এরপর ঢালিউড কিং শাকিব খানকে নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন নিশো। তিনি বলেন, “তিনি (শাকিব খান) ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সিনিয়র। তাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি। আমার ‘সুড়ঙ্গ’ যখন আসে, তখন তাকে সম্মান দেখিয়ে অনেক কথা বলেছিলাম। একজন মানুষের দীর্ঘ ক্যারিয়ার, ইন্ডাস্ট্রিকে এতকিছু দিয়েছেন, বিনিময়ে তিনি সম্মানটুকু প্রত্যাশা করেন। সম্মান ছাড়া তো তিনি কিছু চান না। আমার কাছে সবসময়ই তিনি সম্মানের তুঙ্গে থাকবেন।”

শাকিব খানের উদ্দেশ্যে আফরান নিশো বলেন, “আমি বলব, যা হয়েছিল সেটা ভুল বোঝাবুঝি, আর কিছুই না। তারপরও যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি বলব, আপনি এই বিষয়টা কখনো মনে রাখবেন না। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই, এটা একদমই ভুল বোঝাবুঝি।”

২০২৩ সালে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা মুক্তির কয়েক দিন পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন নিশো। সেখানে জানতে চাওয়া হয়, আপনার প্রথম সিনেমা, আরেকদিকে ঈদের মতো উৎসব আর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী; এসব কারণে চাপ অনুভব করছেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে নিশো বলেন— “একটা প্রশ্ন বার বার আসে সেটা হলো— চাপ। আসলে কীসের চাপ? এখন বয়স চল্লিশের উপরে। অনেক দিন ধরে কাজ করছি। তাহলে চাপটা আসলে কীসের? আমি তো সো কল্ড হিরো না যে, বিয়ে করে বউয়ের কথা বলব না, বাচ্চার কথা বলব না। এ ধরনের দর্শন অনেক আগে ছিল।”

“আমি তো সো কল্ড হিরো না যে, বিয়ে করে বউয়ের কথা বলব না, বাচ্চার কথা বলব না।”— আফরান নিশোর বক্তব্যের এই অংশটুকু নেটিজেনদের বড় একটি অংশ ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। ফলে সমালোচনার মুখে পড়েন নিশো। কারণ নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলান। তারা দাবি করেন— শাকিব খানকে ইঙ্গিত করে এই বক্তব্য দিয়েছেন নিশো। যদিও এ নিয়ে শাকিব কখনো কোনো বক্তব্য দেননি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আফর ন ন শ আফর ন ন শ দ বন দ ব বলব ন

এছাড়াও পড়ুন:

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণের  অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্তকৃতরা হ‌লেন: গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মনি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী  আবদুল্লা আল মামুন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারহানা আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলাম। 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে এ সকল কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

জানা গে‌ছে, মনিরুজ্জামান মনি টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে ডক্টোরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি কাটানোর পর পরবর্তী সময়ে অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাকে ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বরখাস্ত করা হয়। 

আবদুল্লা আল মামুন পিএইচ.ডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে  ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক তাকে ১৫ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।    

মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে অননুমোদিতভাবে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।   

ফারহানা আহমেদ ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর  থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

মফিজুল ইসলাম ২০২৩ এর ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি কাটালেও পরে ছুটি না নিয়ে অফিসে  অনুপস্থিত। তাকে ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

শিরাজী তারিকুল ইসলামও ২০২২ সালের ১২ মে থেকে ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২১ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় নৃশংসতা চালিয়ে ইসরায়েল কি পশ্চিমা বিশ্বেও একঘরে হয়ে যাচ্ছে
  • স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাকেতার
  • কলকাতায় বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেপ্তার , দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের
  • কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
  • ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত, একাদশে চার পরিবর্তন
  • কর্মস্থলে অনুপস্থিত, পাঁচ প্রকৌশলী ও এক স্থপতি বরখাস্ত
  • গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
  • দলবদলের বাজারে চেলসিই রাজা, শীর্ষ দশে আর কারা
  • গাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে কেন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এসব দেশ
  • গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়ালো