কুমিল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নেতৃত্বে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসা পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত সাদ্দাম হোসেন ফেনীর দাগনভূঞা থানায় কর্মরত। হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের মনপাল গ্রামে।

পুলিশ জানায়, টর্চের আলো ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এমরান হোসেনের চোখে পড়লে উত্তেজিত হয়ে দলবল নিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে হামলা করে। কনস্টেবল সাদ্দামকে কুপিয়ে ও তার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন আগে ওই গ্রামে একটি ব্যানার টানান ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এমরান হোসেন। দুই দিন আগে শিশুরা খেলার সময় ঢিল মারলে সেটি ছিঁড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এমরান ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গালাগাল করে। এ সময় রাস্তা দিয়ে টর্চের আলোয় ঘরে ফিরছিলেন ছুটিতে আসা পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন। টর্চের আলো দূর থেকে এমরানের চোখে পড়লে উত্তেজিত হয়ে দলবল নিয়ে কনস্টেবল সাদ্দামের বাড়িতে হামলা চালায়।

আহত পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমার টর্চের আলো দূর থেকে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এমরানের চোখে পড়ে। এতে উত্তেজিত হয়ে দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করে এবং আমার বাড়ির লোকজনকে পিটিয়ে আহত করে।’

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এমরান হোসেন পলাতক থাকায় ঘটনার বিষয়ে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বেলাল জানান, পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলার বিষয়টি দলের হাইকমান্ডের নজরে এসেছে। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এমরান হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা জানান, হামলায় কনস্টেবল সাদ্দামসহ পরিবারের ৩জন আহত হয়েছেন। পরে আহত অবস্থায় সাদ্দামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলায় জড়িত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এমরানকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ এমর ন হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, অপহরণ ৩

কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে গাছ ফেলে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাছবাহী গাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। এসময় ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে তিন জনকে অপহরণ করেছে বলেও অভিযোগ।

সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৭টার দিকে সড়কের হিমছড়ি ঢালায় এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃতরা হলেন- জেলার রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের গুইন্যাপাড়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে শাহেদ ও ফাতেমার ঘোনা এলাকার আলমের ছেলে আমির সোলতান। তারা পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। অপর অপহৃত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আরো পড়ুন:

রামুতে বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ৩

শেরপুরে বাসচাপায় যুবক নিহত, বিক্ষুব্ধ জনতার অগ্নিসংযোগ

স্থানীয় নুর আহমদ মান্নান নামের একজন বলেন, ‘‘যাত্রীবাহী দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি মাছবাহী গাড়ি হিমছড়ি ঢালায় পৌঁছালে মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাতরা সড়কে গাছ ফেলে যানবাহন আটকে দেয়। এসময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পালিয়ে যায়। এরপর অন্য দুই গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ সর্বস্ব লুট করে তারা। পরে তিন জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে নিয়ে যায়।’’

ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মছিউর রহমান বলেন, ‘‘এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে, ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’’

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ