১৬ বছর ধরে লড়াই করেছে বিএনপি আর ছাত্ররা ‘নয়ন ভাগা’ দিতে চায়: ফজলু
Published: 5th, April 2025 GMT
বিএনপি গত ১৬ বছর এ দেশে গণতন্ত্রের মুক্তি ও ভোটের অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে আর ছাত্ররা ‘নয়ন ভাগা’ দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
আজ শনিবার অষ্টগ্রাম উপজেলার পাইলট স্কুল মাটে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে দিনব্যাপী ঈদ পুনর্মিলনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই জমিটা হইছে বিএনপির। এই জমি চাষ করেছে, রোয়া লাগিয়েছে, সার দিয়েছে, সময়মতো সেচ দিয়েছে, জমি নিরানী দিয়েছে, সার ও ডিজেলের দাম দিয়েছে বিএনপি, আর এখন ফসল তোলার সময় হয়েছে। দেশে নতুন দাওয়াল (ধান কাটার শ্রমিক) আইছে তারা আমাদের হাওড়ে যখন অকাল বন্যা হয়, সমস্ত কৃষকের পাকা ধান যখন পানিতে তলিয়ে যায়, তখন কৃষক দিশেহারা হয়ে স্থানীয় দাওয়ালদের কাছে ধান কেটে দেওয়ার কথা বললে তারা বলে কিভাবে কাটাবেন, তখন কৃষকরা বলে আট ভাগে এক ভাগ। তখন দাওয়ালরা বলতো ‘নয়ন ভাগা’ হলে কাটতে যাব। মানে হলো দাওয়ালরা জমির ধান কেটে নিবে আর কৃষকরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে। বর্তমানে বাংলাদেশে আমাদের ছাত্র ছেলেরা যারা ক্ষমতায় আছে, তারা বিএনপিকে নয়ন ভাগা দিতে চায়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেন, মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইদ হোসেন, ইটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমেশ গোপ, সদর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবু ছালেক, ধনপুর ইউনিয়নের সভাপতি ভজন কান্তি দাস, উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম অপু, শিহাব উদ্দিন টিপু, আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজাদুর রহমান সুজন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তানজিদ সিদ্দিকী রিয়াদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ক শ রগঞ জ ব এনপ র স উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।