বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিমানে কম ও নিয়মবহির্ভূত ভাবে জ্বালানী তেল বিক্রি  অপরাধে একটি ফিলিং স্টেশনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও পাম্পের সামায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে  বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম উপজেলার ফরাজিকান্দাস্থ প্রধান ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালিয়ে  পাম্পের কার্যক্রম সামায়িক বন্ধসহ অর্থ দন্ড করেন।

অভিযানকালে ভ্রাম্যমান আদালত অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল বিতরণের ৩ টি ডিজিটাল মেশিন পরীক্ষা করে প্রতি লিটারে ৩০ মি.

লি. করে গ্রাহকদের তেল কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এছাড়াও নিয়মবহির্ভূত ভাবে জ্বালানী তেল বিতরণ করার পাশাপাশি সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ না করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই সাথে সাময়িক ভাবে প্রধান ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাম্পের তিনটি মেশিনে লিটার প্রতি ৩০ মি.লি. কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় প্রধান ফিলিং স্টেশনকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে সমাজচ্যুতির ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত মাতব্বররা

জামালপুর শহরে সাতটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত মাতব্বররা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন পর রোববার রাতে বসে নতুন সালিশ বৈঠক। এতে সেই মাতব্বররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একসঙ্গে বসবাসের অঙ্গীকার করেন। পরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাতটি পরিবারের বিরুদ্ধে নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জামালপুর শহরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায় গত শুক্রবার রাতে বসে সালিশ বৈঠক। এতে ঘোষণা করা হয়, ‘মরহুম আজিজুল হক, ইসমাইল হোসেন মৌলভি, মুনসুর মিয়া, মানিক, জানিক, মজিবর ও নান্নুর পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা, লেনদেন বা সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এ নিষেধ অমান্যকারীকেও একঘরে করে দেওয়া হবে।’ পরে মাইকে এলাকাজুড়ে তা প্রচার করা হয়। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরদিন বিকেলে ইসমাইল হোসেন, মুনসুর মিয়াসহ ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ দেন। তারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালীরা সালিশ ডেকে একতরফাভাবে মুনসুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় সাত পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়ে একঘরে করে রাখা হয়েছে।

এই অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। রোববার রাত ১০টার দিকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে এলাকার কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অঙ্গীকার করেছে। অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ