বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালতে ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা, বন্ধ ঘোষনা
Published: 8th, April 2025 GMT
বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিমানে কম ও নিয়মবহির্ভূত ভাবে জ্বালানী তেল বিক্রি অপরাধে একটি ফিলিং স্টেশনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও পাম্পের সামায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম উপজেলার ফরাজিকান্দাস্থ প্রধান ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালিয়ে পাম্পের কার্যক্রম সামায়িক বন্ধসহ অর্থ দন্ড করেন।
অভিযানকালে ভ্রাম্যমান আদালত অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল বিতরণের ৩ টি ডিজিটাল মেশিন পরীক্ষা করে প্রতি লিটারে ৩০ মি.
এছাড়াও নিয়মবহির্ভূত ভাবে জ্বালানী তেল বিতরণ করার পাশাপাশি সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ না করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই সাথে সাময়িক ভাবে প্রধান ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাম্পের তিনটি মেশিনে লিটার প্রতি ৩০ মি.লি. কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় প্রধান ফিলিং স্টেশনকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কুবির সাবেক রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে মো. মজিবুর রহমানের দাবি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ২৪ জুলাই ১০৫তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় তার (সাবেক রেজিস্ট্রার) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করতে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির তদন্ত কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা গত ২৯ জুলাই রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
সঞ্চয় অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমা আকতার বরখাস্ত
এনসিপির পোস্টার ছেঁড়ায় সিসিকের ৩ কর্মচারী বরখাস্ত
গত ২৪ জুলাই গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটিতে আছেন, আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, সদস্য সচিব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান (জীবন) ও আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মু. আলী মুর্শেদ কাজেম।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো সত্যতা তারা (প্রশাসন) পায়নি। আর্থিক এবং প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি হলেও তারা কিছু পায়নি। এখন আবার উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর সঙ্গে নিয়মবহির্ভূতভাবে আমাকে বরখাস্ত করেছে। এটি কর্তৃপক্ষের গায়ের জোরে করা হচ্ছে, ক্ষমতার চরম অপব্যবহার এটি।”
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও উচ্চতর তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন করে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”
প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, “তিনি (সাবেক রেজিস্ট্রার) যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে ছিলেন, তাকে অন্তত ১২ থেকে ১৫ বার শোকজ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক ক্ষতি হয় এমন বদনামও তিনি করেছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই উচ্চতর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাকে যখন বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়, তখন তিনি কোর্টে যান। কোর্ট যখন তার পক্ষে রায় দেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল রিট না করা পর্যন্ত তিনি চাকরিতে যোগদান দিতে পারবেন না।”
গত ৩ মার্চ ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার পদে থাকা মো. মজিবুর রহমানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়। এ পদে নতুন দায়িত্ব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দেওয়া হয় গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে।
বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর অফিস আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন মজিবুর রহমান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বাধ্যতামূলক ছুটির ওপর ৩ মাসের স্থিতির আদেশ জারি করেন। এরপর গত ১৬ জুলাই অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বরাবর ১৭ জুলাই থেকে নিজ পদে যোগদানের আবেদন করেন তিনি।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী