বাংলা সিনেমার সোনালি দিনের চিত্রনায়ক ইলিয়াস জাভেদের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আজ বুধবার দুপুরে তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনিবার্হী সদস্য সনি রহমান।
সনি বলেন, “একদিকে তিনি ক্যান্সারের রোগী অন্যদিক হার্টের সমস্যা। এর আগে দুইবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।”

জাভেদের স্ত্রী ডলি চৌধুরীর বরাত দিয়ে সনি রহমান বলেন, “নায়ক জাভেদ বেশ আগে থেকেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। আজ হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাসার নিকটতম উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতে নিয়ে যাওয়া হয়। জাভেদ ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ডলি চৌধুরী।”

১৯৬৪ সালে উর্দু সিনেমা ‘নয়া জিন্দেগি’ দিয়ে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে জাভেদের অভিষেক হয়।  তার চাহিদা বাড়তে থাকে ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পায়েল’ সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন শাবানা। এরপর প্রায় দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন জাভেদ। নব্বই দশক পর্যন্ত সুবর্ণ সময় কাটিয়েছেন সিনেমায়।

জাভেদের আলোচিত সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘মালকা বানু’, ‘অনেক দিন আগে’, ‘শাহজাদী’, ‘নিশান’, ‘রাজকুমারী চন্দ্রভান’, ‘কাজল রেখা’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘নরম গরম’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘চোরের রাজা’ ও ‘জালিম রাজকন্যা’।

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ