জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তার দাবি রওশন গ্রুপের
Published: 19th, April 2025 GMT
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ জাতীয় পার্টির অন্য অংশটি।
দলটির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, “পল্লীবন্ধু এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে দলীয় চেয়ারম্যান পদ-দখল করেছেন জিএম কাদের। দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে এই পদে কখনোই দেখতে চায়নি। চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে পার্টিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। শুধু জনগণ নয়, খোদ নেতাকর্মীরাই তাকে জেলে দেখতে চান। দেশ ও নেতাকর্মীদের স্বার্থে জি এম কাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি করছি।”
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সেগুনবাগিচার জেকে টাওয়ারে দলের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
আ.
‘ক্লিন ইমেজের’ আড়ালে ‘কলঙ্ক’, দুদকের জালে জিএম কাদের
এ সময় দলের কো-চেয়ারম্যান সুনীল শুভ রায়, সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জামাল রানা, চট্টগ্রামের আমান উল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয় জেলা নেতারা বক্তব্য রাখেন।
কাজী মামুন বলেন, “জিএম কাদের নিজেকে সৎ দাবি করলেও প্রত্যেকটি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। দলীয় চাঁদা আত্মসাতের সাথে জড়িত। জাতীয় পার্টিকে বিক্রি করে তিনি নিজেই শুধু লাভবান হননি, তার স্ত্রী, পরিবারও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন। ইতিমধ্যে জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরু করেছে। আমরা কমিশনকে স্বাগত জানাই।”
‘‘জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যান হয়ে চাকর-বাকরদের দলীয় পদ দেন, প্রমোশন বাণিজ্য তো আছেই। আর যারা তার চাইতে যোগ্য ও ত্যাগি নেতাদের বাদ দিচ্ছেন। তার স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডে ত্যাগী নেতাকর্মীরা অপমানিত হয়ে পদত্যাগ করছেন। এভাবে দল চলতে পারে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে হবে,” বলেন কাজী মামুন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রওশন এরশাদ গ্রুপের বর্ধিত সভা চলাকালে একই সময়ে জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির অন্য অংশটিও দলের বর্ধিত সভা করে। পার্টির চেয়ারম্যানের বারিধারা অফিসে দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভার প্রথম দিনে সভাপতিত্ব করেন জিএম কাদের।
এ সময় দলটির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলটির জেলা-মহানগরসহ উপস্থিত ছিলেন।
জাপার জিএম কাদের সমর্থক অংশ দলটির বনানী কার্যালয়ে বর্ধিত সভা করেছে। একই সময়ে রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি বর্ধিত সভা করে বনানীতে। জাপার একাংশের বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জিএম কাদের।
এ সময় এ অংশের কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলটির জেলা-মহানগরসহ শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ এম ক দ র ন জ এম ক দ র ন ত কর ম কর ছ ন দলট র এরশ দ
এছাড়াও পড়ুন:
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।
শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”
তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”
বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”
কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।
অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।
ঢাকা/এসবি