গাড়িতে উঠলেই ‘মোশন সিকনেস’ হয়, কী করবেন
Published: 26th, April 2025 GMT
বাস, ট্রেন বা প্রাইভেটকারে ভ্রমণ করার সময় অনেকের ‘মোশন সিকনেস’ হয়। আর এই মোশন সিকনেসের জন্য আমাদের কান দায়ী। কারণ আমাদের কানে এমন কিছু সেন্সর আছে যেগুলো আমাদের ব্রেনকে সব সময় সিগন্যাল প্রদান করতে থাকে, আমরা কোনোদিকে অগ্রসর হচ্ছি। বাস বা কারের কন্টিনিউয়াস মোশন এর কারণে আমাদের কানের ভেতরে যে সেন্সরগুলো আছে সেগুলো ব্রেনকে ভুল সিগন্যাল প্রদান করে। অর্থাৎ বাস্তবে আপনি হযতো ডান বা বাম দিকে যাচ্ছেন কিন্তু আপনার ব্রেইন সিগন্যার পাবে যে আপনি ডান থেকে বাম দিকে যাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কান আর ব্রেনের ভুল কমিউনিকেশনের কারণে আমাদের মোশন সিকনেস হয়। যার কারণে আমাদের বমি হয়। এই মোশন সিকনেস সবারই হবে, তা নয়। কারও কারও জেনেটিক্যালি কানের সেন্সর দূর্বল হয়। তাদের মোশান সিকনেসের তীব্রতার বেশি হয়।
বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে এই মোশন সিকনেস কমানো যেতে পারে। ফিটনেস প্রশিক্ষক এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এ এস তাজের পরামর্শ—
আরো পড়ুন:
বয়স যখন ত্রিশ
চিন্তা স্মৃতি বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে কী করবেন?
তরমুজের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা
১.
২. জার্নির সময় কাছের বস্তুর দিকে না তাকিয়ে দূরের দিগন্তের দিকে তাকিয়ে থাকা ভালো। অর্থাৎ দূরের দৃশ্য আপনাকে দেখতে হবে। আপনি যত বেশি কাছের দৃশ্য দেখবেন ততবেশি আপনার মোশন সিকনেস কাজ করবে।
৩.আর যে কাজ করবেন না, সেটা হলো মোবাইল স্ক্রলিং করবেন না বা বই পড়বেন না। যেহেতু আমরা হাতে যে জিনিসটি ধরে থাকি সেটা কন্টিনিউয়াসলি নড়াচড়া করে তাই এই নড়াচড়ার দিকে আপনি যতবেশি তাকিয়ে থাকবেন তত বেশি মোশন সিকনেস কাজ করবে।
৪. এ ছাড়া সম্ভব হলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে পারেন।
৫. মাঝে মাঝে লেবু অথবা কমলার ঘ্রাণ নেওয়া যেতে পারে। এতে মোশন সিকনেস কমে।
উল্লেখ্য, এই সব কিছুর মেনে চলার পরেও যদি মোশন সিকনেস না কমে তাহলে মোশন সিকনেস কমানোর ওষুধ জার্নির আগেই সেবন করতে পারেন। এতে মোশন সিকনেস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি ৮ প্রাক্তন ভিসিসহ ২০১ জন
ঢাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ‘হত্যাচেষ্টা’র অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম বুধবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২০ মার্চ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের পক্ষে ছাত্রদলের সাবেক নেতা এম এ হাশেম রাজু আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক আছেন আসামির তালিকায়। তারা হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মীজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আবদুল মান্নান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এম অহিদুজ্জামান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. অনুপম সেন, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, আলমগীর হোসেন, আবেদ খান প্রমুখ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে– ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সকালে মামলার বাদী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরীবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছায়। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী পথরোধ করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ গুলিতে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আব্দুন নূর নামে এক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা হাফেজ আবুল বাশার গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম এম মিজবাউর রহমানের আদালতে এ মামলা করেন।
মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, সালমান এফ রহমান প্রমুখ।
মামলার বাদী আবুল বাশার বলেন, আব্দুন নূর ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান নিউজ নামে পত্রিকার রিপোর্টার ছিল। আন্দোলনের সময় ১ আগস্ট সে ঢাকায় আসে এবং যাত্রাবাড়ীতে ৫ আগস্ট গুলিতে মারা যায়।