বাস, ট্রেন বা প্রাইভেটকারে ভ্রমণ করার সময় অনেকের ‘মোশন সিকনেস’ হয়। আর এই মোশন সিকনেসের জন্য আমাদের কান দায়ী। কারণ আমাদের কানে এমন কিছু সেন্সর আছে যেগুলো আমাদের ব্রেনকে সব সময় সিগন্যাল প্রদান করতে থাকে, আমরা কোনোদিকে অগ্রসর হচ্ছি। বাস বা কারের কন্টিনিউয়াস মোশন এর কারণে আমাদের কানের ভেতরে যে সেন্সরগুলো আছে সেগুলো ব্রেনকে ভুল সিগন্যাল প্রদান করে। অর্থাৎ বাস্তবে আপনি হযতো ডান বা বাম দিকে যাচ্ছেন কিন্তু আপনার ব্রেইন সিগন্যার পাবে যে আপনি ডান থেকে বাম দিকে যাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কান আর ব্রেনের ভুল কমিউনিকেশনের কারণে আমাদের মোশন সিকনেস হয়। যার কারণে আমাদের বমি হয়। এই মোশন সিকনেস সবারই হবে, তা নয়। কারও কারও জেনেটিক্যালি কানের সেন্সর দূর্বল হয়। তাদের মোশান সিকনেসের তীব্রতার বেশি হয়। 

বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে এই মোশন সিকনেস কমানো যেতে পারে। ফিটনেস প্রশিক্ষক এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এ এস তাজের পরামর্শ—

আরো পড়ুন:

বয়স যখন ত্রিশ
চিন্তা স্মৃতি বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে কী করবেন?

তরমুজের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা

১.

আপনাকে প্রথমেই যেটা করতে হবে, সেটা হলো জার্নির আগে হালকা খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ পেট ভরে খাবেন না। 

২. জার্নির সময় কাছের বস্তুর দিকে না তাকিয়ে দূরের দিগন্তের দিকে তাকিয়ে থাকা ভালো। অর্থাৎ দূরের দৃশ্য আপনাকে দেখতে হবে। আপনি যত বেশি কাছের দৃশ্য দেখবেন ততবেশি আপনার মোশন সিকনেস কাজ করবে।

৩.আর যে কাজ করবেন না, সেটা হলো মোবাইল স্ক্রলিং করবেন না বা বই পড়বেন না। যেহেতু আমরা হাতে যে জিনিসটি ধরে থাকি সেটা কন্টিনিউয়াসলি নড়াচড়া করে তাই এই নড়াচড়ার দিকে আপনি যতবেশি তাকিয়ে থাকবেন তত বেশি মোশন সিকনেস কাজ করবে।

৪. এ ছাড়া সম্ভব হলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে পারেন।

৫. মাঝে মাঝে লেবু অথবা কমলার ঘ্রাণ নেওয়া যেতে পারে। এতে মোশন সিকনেস কমে।

উল্লেখ্য, এই সব কিছুর মেনে চলার পরেও যদি মোশন সিকনেস না কমে তাহলে  মোশন সিকনেস কমানোর ওষুধ  জার্নির আগেই সেবন করতে পারেন। এতে মোশন সিকনেস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ