দূর সম্পর্কের ভাতিজিকে নিয়ে লাপাত্তা যুবলীগ নেতা
Published: 28th, April 2025 GMT
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ভাতিজিকে (১৯) নিয়ে রিপন চন্দ্র দাস নামে এক যুবলীগ নেতা লাপাত্তা রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) একেএম আজমল হুদা।
তিনি বলেন, “এ ঘটনায় রোববার ভুক্তভোগীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে, গত শনিবার উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।”
অভিযুক্ত রিপন চন্দ্র দাস (৩৮) উপজেলার চরঈশ্বর ইউনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলটিয়া গ্রামের প্রিয়লাল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তিন সন্তানের জনক। ওই কলেজছাত্রী তার দূর সম্পর্কের ভাতিজি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা রিপন ও নিখোঁজ কলেজছাত্রী নিকট প্রতিবেশী হয়। মেয়ের বাবার সাথে রিপনের সুসম্পর্ক ছিল। ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা প্রায় রিপনকে তার বাড়িতে নিয়ে যেত। সেখানে রিপন প্রায় মা-মেয়ের সাথে গল্প করত।
তবে ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, কলেজে যাওয়ার পথে মেয়েকে উত্যাক্ত করত রিপন। এক পর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়ে বিষয়টি তার বাবাকে বলার পর তিনি ছেলের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তখন অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ের বাবাকে হুমকি ধামকি দেয়। রিপন সরকার পতনের পর কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। কয়েক মাস আগে আগে আবার প্রকাশ্যে আসেন। গত শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে রিপনসহ তার সহযোগিরা জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এখনো মেয়ের কোন খোঁজ পায়নি তার পরিবার।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রিপন চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা আরো বলেন, “মেয়ের বাবার সাথে অভিযুক্ত ছেলের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই মেয়ের বাবা রিপনকে তাদের বাসায় নিয়ে যেত, খাওয়া দাওয়া করত, এক সাথে ঘুমাত। রিপন ওই মেয়েকে মাঝে মাঝে কলেজে নিয়ে যেত। এখন রিপনের সাথে সে মেয়ে ভাগছে। এখানে অপহরণের কোনো কাহিনী নেই। তারপরও লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।”
ঢাকা/সুজন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ ন ত পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাক্সওয়েল, ক্লাসেন, পুরান—জাতীয় দল ছাড়তেই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের অধিনায়ক
মাইক হাসি, সাঈদ আজমল ও নিকোলাস পুরান—তিনজনের ছবির সঙ্গে একটা তথ্য সংবলিত কার্ড কদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরঘুর করছে।
তথ্যটা কী? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাসির অভিষেক হয়েছিল ২৮ বছর বয়সে, আজমলের ৩০ পেরিয়ে। অথচ পুরান কিনা ২৯ বছরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন!
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র ৮ বছর ১১ মাস খেলেই হাসি নিজেকে কিংবদন্তিদের কাতারে নিয়ে গেছেন। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের দায়ে আজমল নিষিদ্ধ না হলে তিনিও হয়তো সেই কাতারে থাকতেন। হাসি–আজমলরা সব সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই প্রাধান্য দিয়েছেন, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছেন। কিন্তু পুরানের শয়নে স্বপনে মননে চেতনে শুধুই যেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট।
অকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেওয়ার ‘পুরস্কারও’ হাতেনাতে পেয়েছেন পুরান। তাঁর পাশাপাশি সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেওয়া হাইনরিখ ক্লাসেন এবং ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও পেয়েছেন এই পুরস্কার। সেটা কী? জাতীয় দল ছাড়তেই পুরান, ক্লাসেন ও ম্যাক্সওয়েল পেয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের অধিনায়কত্ব।
আজ শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি–টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) তৃতীয় আসর। ছয় দলের এই টুর্নামেন্টের তিন দল এমআই নিউইয়র্ক, সিয়াটল ওরকাস ও ওয়াশিংটন ফ্রিডমকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পুরান, ক্লাসেন ও ম্যাক্সওয়েল। অন্য তিন দলকে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গেও অনেক দিন হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সম্পর্ক নেই।
মেজর লিগ ক্রিকেটের ছয় অধিনায়ক