ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা প্রথম করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা নিয়ে আলোচনা চান লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী। সেই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন তিনি। চিঠিতে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানান রাহুল।
রাহুল লিখেছেন, আমি অবিলম্বে সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য বিরোধীদের সর্বসম্মত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করছি। পেহেলগামের জঙ্গি হামলা, অপারেশন সিঁদুর ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, আপনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে এবং দ্রুত বিবেচনা করবেন। রাহুল একা নন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গেও একই অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। খবর এনডিটিভি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যমজ সন্তানের খবর দিয়ে অ্যাম্বার হার্ড বললেন, ভেবেচিন্তে মাতৃত্ব বেছে নিয়েছি
যমজ সন্তানের মা হয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। মা দিবসে ইনস্টাগ্রামে সুখবরটি জানান তিনি নিজেই। নতুন সদস্যদের নাম দিয়েছেন অ্যাগনেস ও ওশান। তাদের আগমনে নিজের পরিবারকে ‘সম্পূর্ণ’ মনে করছেন বলে জানালেন এই অভিনেত্রী।
৩৯ বছর বয়সী হার্ড এর আগেও ২০২১ সালে কন্যা সন্তান উনাহ্-কে দত্তক নেন। তিনি এবার জানিয়েছেন, মা হওয়ার এই যাত্রা ছিল তার জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা।
মা দিবসে ইনস্টাগ্রামে তিন জোড়া পায়ের একটি ছবি দিয়ে হার্ড লেখেন, “নিজের শর্তে মা হওয়া, তা-ও আবার বন্ধ্যাত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা। আমি ভেবেচিন্তে ও দায়িত্বশীলভাবে মাতৃত্ব বেছে নিয়েছি। অমি অনেক খুশি। এই পরিবার গড়ার স্বপ্ন আমি বহু বছর ধরে লালন করেছি।”
হার্ড সব মায়েদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, “আপনারা আজ যেখানেই থাকুন না কেন এবং যে পথেই মাতৃত্বে পৌঁছান না কেন, আমি ও আমার স্বপ্নের পরিবার আপনাদের সঙ্গে উদ্যাপন করছি।”
View this post on InstagramA post shared by Amber Heard (@amberheard)
এর আগেও, ২০২১ সালে যখন তিনি প্রথমবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
অ্যাম্বার হার্ড ২০১৫ সালে অভিনেতা জনি ডেপকে বিয়ে করেন এবং ২০১৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পর একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তোলেন এবং পরবর্তীতে দুজনই উচ্চ-প্রোফাইল মানহানি মামলায় জড়িয়ে পড়েন।
২০২০ সালে লন্ডনের একটি আদালতে ডেপ একটি মানহানি মামলা হেরে যান, যেখানে হার্ডের সাক্ষ্যে বলা হয়, তিনি ‘স্ত্রী নির্যাতনকারী’। এরপর ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চলা আরেকটি বহুল প্রচারিত মামলায় হার্ডকে জনি ডেপের বিরুদ্ধে মানহানি প্রমাণিত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ মিলিয়ন ডলার দিতে বলা হয়। তবে হার্ডও পাল্টা মামলায় আংশিক জয় পান এবং ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পান। সূত্র: বিবিসি।