এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে চায় ইউরোপের দুই বড় ক্লাব, জেনে নিন কারা সেই ক্লাব
Published: 19th, May 2025 GMT
মৌসুম শেষে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের অ্যাস্টন ভিলা ছেড়ে যাওয়া একদমই নিশ্চিত। ভিলা পার্কের সর্বশেষ ম্যাচে চোখের পানিতে ভক্ত-সমর্থকদের একরকম বিদায়ও জানিয়ে দিয়েছেন মার্তিনেজ। মার্তিনেজের ক্লাব ছাড়ার খবর সামনে আসার পর সবার কৌতূহল ছিল তাঁর ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে।
শুরুতে অনিশ্চিত গন্তব্যের কথা শোনা গেলেও এখন সামনে এসেছে ইউরোপের দুটি বড় ক্লাবের নাম। ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মার্তিনেজকে পেতে চায় বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুটি ক্লাবই সাম্প্রতিক সময়ে গোলরক্ষক নিয়ে জটিল সময় পার করেছে। যে কারণে আপাতত মার্তিনেজকে কিনে নিজেদের গোলরক্ষক সমস্যার সমাধান করতে চায় দল দুটি।
বার্সেলোনা সম্প্রতি লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করেছে, যেখানে পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তবে সেজনির ওপর এককভাবে ভরসা করে থাকার সুযোগ নেই। সেজনির বয়স ৩৫ বছর। নিয়মিত গোলরক্ষক টের স্টেগেন ছিটকে যাওয়ার পর তিনি বার্সায় যোগ দেন মূলত অবসর ভেঙে।
আরও পড়ুনপিএসজিকে কাঁপিয়ে দিল অ্যাস্টন ভিলা, চোখের জলে বিদায় মার্তিনেজদের১৫ এপ্রিল ২০২৫সেজনির সঙ্গে অবশ্য বার্সার চুক্তি বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে। তবে মৌসুমের লম্বা সময়ের দিকে তাকালে বার্সার বিকল্প গোলরক্ষকের প্রয়োজনীয়তাও আছে। আর সেই বিকল্প হিসেবেই কাতালান ক্লাবটি চায় সেজনিকে।
দর্শকদের প্রতি করতালি দেওয়ার সময় কেঁদে ফেলেন মার্তিনেজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স জন র
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।