রিকশাচালক বাবার আকুতি শুনলেন তারেক রহমান, দিলেন বিমানের টিকিট
Published: 24th, May 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছিল রিকশাচালক এক বাবার আকুতি। আর তাতেই নজর পড়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তার নির্দেশেই ছেলেকে সৌদি আরব পাঠানোর বিমানের টিকিট তুলে দিলেন সিলেট বিএনপির নেতারা। আর তাতে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, নগরীর রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম প্রতিদিন টাকা জমিয়ে রাখতেন একটি মাটির ব্যংকে। সেই জমানো টাকা দিয়ে সৌদি আরবের ভিসার ব্যবস্থা করেন। কয়েকদিন আগে জানতে পারেন সৌদি আরবে তার ছেলের ভিসা হয়েছে। ভিসা হাতে পাওয়ার পর জানতে পারেন ভিসার মেয়াদ কম। রিকশা চালিয়ে এই টাকা যোগাড় করতে তার বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। আর ততদিনে মেয়াদ চলে যাবে ভিসার। তার এই আকুতি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তার এই আকুতি নজরে আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপর রফিকুল ইসলামের ছেলের সৌদি আরবের টিকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। শুক্রবার হাউজিং এস্টেট কয়েস লোদীর কার্যালয়ে রফিকুল ইসলামের হাতে টিকিট তুলে দেন বিএনপি নেতারা।
রফিকুল ইসলাম সমকালকে জানান, আমার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। অভাবের সংসার। কোনোরকম টাকা জমিয়ে ভিসার ব্যবস্থা করেছিলাম। টিকিটের টাকা এভাবে আসবে কল্পনাও করতে পারিনি। আমি তারেক রহমানের কাছে চির কৃতজ্ঞ। সহযোগিতার জন্য রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকেও ধন্যবাদ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন নগর ব এনপ র ত র ক রহম ন ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।