ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে এক সুরেলা সন্ধ্যার আবাহনে অনুষ্ঠিত হলো সংগীতানুষ্ঠান ‘ঠুমরির জলসা’। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার এই আয়োজন যেন হয়ে উঠেছিল এক নিটোল শ্রদ্ধার্ঘ্য। নজরুলের সংগীতভান্ডার থেকে বাছাই করা ঠুমরি ও রাগভিত্তিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শ্রোতারা পেলেন সুর ও বাণীর এক অপার অনুভব।
কাহারবা তালের একটি ঠুমরি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যার আসর শুরু করেন মিরাজুল জান্নাত সোনিয়া। এরপর দাদরা তালে নজরুলসংগীত পরিবেশন করেন ঐশ্বর্য সমদ্দার। কাহারবা তালে মোহি খানের কণ্ঠে ‘পরান প্রিয়! কেন এলে অবেলায়/ শীতল হিমেল বায়ে ফুল ঝরে যায়’ গানটি শ্রোতামনে সঞ্চার করে এক বিষণ্ন আবহ। রাগ পাহাড়ি ঠুমরি আঙ্গিকের একটি গান পরিবেশন করেন টিংকু শীল।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার এই আয়োজন যেন হয়ে উঠেছিল এক নিটোল শ্রদ্ধার্ঘ্য। আয়োজকদের সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রেতাদের ভালো সাড়ায় শেষ হলো রেফ্রিজারেটর মেলা
প্রথম আলো ডটকমের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী অফলাইন রেফ্রিজারেটর মেলা আজ শনিবার শেষ হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ২২ মে তিন দিনের এই অফলাইন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে অনলাইনে এই মেলা চলবে ২৭ মে পর্যন্ত।
মেলার ব্যাংকিং অংশীদার ইস্টার্ন ব্যাংক এবং পাওয়ার্ড বাই এমইপি গ্রুপ। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেক্ট্রোমার্ট (কনকা), সিঙ্গার-বেকো, র্যাংগ্স ইলেকট্রনিকস (সনি-র্যাংগ্স), ট্রান্সকম ডিজিটাল, স্মার্ট ইলেকট্রনিকস (সনি-স্মার্ট) এবং মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেকট্রনিকস।
অফলাইনে অনুষ্ঠিত এই মেলা প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরে ছিল বিশেষ ছাড়, সহজ কিস্তি সুবিধা, ব্যাংক অফারসহ নানা উপহার। মেলায় অনেকে এসেছেন সপরিবার। আবার তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
মেলা চলাকালে প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইনস্ট্যান্ট র্যাফল ড্র’। বিজয়ীরা পেয়েছেন বিশেষ পুরস্কার। অনলাইন মেলা শেষে আয়োজন করা হবে মেগা র্যাফল ড্র। বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন ফ্রিজ, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা বিমান টিকিট, স্মার্টফোনসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার। আজ মহাখালী থেকে ফ্রিজ কিনতে মেলায় এসেছিলেন মো. শাহজাহান। সিঙ্গার-বেকো ব্র্যান্ডের চেস্ট ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ কিনে স্ক্যাচ কার্ড ঘষে মাইক্রোওভেন পুরস্কার পান তিনি। পরে শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি পণ্য কিনতে এসে অন্য পণ্য উপহার পেলে তো ভালোই লাগে। এ রকম গোছানো, পরিচ্ছন্ন মেলা যাঁরা আয়োজন করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’
ক্রেতাদের চাহিদা, বাজেট ও প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলো বিবেচনায় রেখে প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন করা হয়েছে এই রেফ্রিজারেটর মেলার। বিশেষ করে ঈদুল আজহা সামনে রেখে যেসব পরিবার নতুন রেফ্রিজারেটর কেনার কথা ভাবছে, তাদের জন্য এই মেলা ছিল ভালো সুযোগ।
মেলায় ক্রেতাদের সাড়া বেশ ভালো ছিল বলে জানান স্যামসাংয়ের প্রশিক্ষণ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার দেওয়ান মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদে ডিপ ফ্রিজের চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ করে আমাদের নো ফ্রস্ট ফ্রিজটির প্রতি সবাই আগ্রহ দেখাচ্ছে। আশা করি, শুধু ঈদ নয়; অন্য উৎসব উপলক্ষেও প্রথম আলো এমন আয়োজন করবে।’
সিঙ্গারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ বি এম আকিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশানুরূপ বিক্রি করতে পেরেছি। মেলার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে আমাদের রেফ্রিজারেটরের সুযোগ–সুবিধাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছে। অনেকেই নগদ ও কিস্তিতে পণ্য কিনেছেন।’
ওয়ালটনের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিন্সিপাল অফিসার জুয়েল গাজী বলেন, ‘ক্রেতারা আমাদের নতুন মডেলগুলো বেশি পছন্দ করছেন। নতুন ফিচার জানার পরে তাঁদের আগ্রহ আরও বাড়ছে। প্রথম দিন একটু কম হলেও তিন দিনের মোট বিক্রিতে আমরা খুশি।’
ঈদের মতো একটি উৎসব সামনে রেখে এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ক্রেতা ও ব্র্যান্ড উভয়ের জন্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। অনলাইনে ২৭ মে পর্যন্ত মেলার বিস্তারিত জানা যাবে www.refrigeratormela.pro ওয়েবসাইটে।