ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা
Published: 26th, May 2025 GMT
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আহূত ৪৯তম ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভাসানী পরিষদের সদস্যসচিব আজাদ খান ভাসানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি সকাল ১০টায় শুরু হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের ভাসানী গবেষক ও ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকার সৌমিত্র দস্তিদার, বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হক নান্নু, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় মওলানা ভাসানীর প্রাণ-প্রকৃতি-রবুবিয়তের দর্শনকে বর্তমান বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক বাস্তবতার জন্যে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করা হয়। ফারাক্কা লংমার্চের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে ফারাক্কা লংমার্চের ওপর জাফর মুহম্মদ পরিচালিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সবশেষ ভাসানী পরিষদের আহ্বায়ক ইফতেখার হোসেনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠান শেষ হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
আরো পড়ুন:
মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।”
প্রধান উপদেষ্টা ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/সাইফ