ঈদ বোনাস দিয়েছে ৫৪ শতাংশ পোশাক কারখানা
Published: 29th, May 2025 GMT
আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। পোশাক শ্রমিকদের ঈদ বোনাস মে মাসের মধ্যে এবং মে মাসের বেতন ১ থেকে ৩ জুনের মধ্যে পরিশোধ করার কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত চালু থাকা ২ হাজার ৯২টি কারখানার মধ্যে এপ্রিল মাসের বেতন দিয়েছে ২ হাজার ৬৮টি কারখানা। অর্থাৎ প্রায় ৯৯ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের এপ্রিলের বেতন পরিশোধ করেছে। একই সঙ্গে ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে ১ হাজার ১২৬টি কারখানা, যা প্রায় ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৬৬টি কারখানা বোনাস পরিশোধ করেনি।
গতকাল তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রকাশ করা সর্বশেষ তথ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের এ চিত্র পাওয়া গেছে। বিজিএমইএ জানিয়েছে, ২৪টি কারখানা এপ্রিলের বেতন দেয়নি শ্রমিকদের। এ ছাড়া দুটি কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেনি।
ঈদের আগে বোনাস পরিশোধে কারখানা মালিকদের হাতে আর মাত্র তিন দিন সময় আছে। তবে বিজিএমইএ আশা করছে, সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোনাস ও বেতন পরিশোধ সম্পন্ন হবে। গতকাল ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মোট ২ হাজার ৯২টি পোশাক কারখানা চালু ছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর শ ধ ক
এছাড়াও পড়ুন:
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে উৎপাদনশীলতা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিজিএমইএ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, আরো কমাতে আলোচনার পরামর্শ
বিজিএমইএ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৭.৫০ শতাংশ
বিজিএমইএ জানায়, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, পোশাক শিল্পকে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ যুগের উপযোগী করে তুলতে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সেমিনার ও পরামর্শ সেবা পরিচালনা করবে বিজিএমইএ ও এনপিও। পাশাপাশি, উৎপাদনশীলতা ও অপারেশনাল উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫ এস, কাইজেন, লিন ম্যানুফেকচারিংরের মতো আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
চুক্তির অংশ হিসেবে প্রতি বছর তিনটি তৈরি পোশাক কারখানাকে ‘মডেল এন্টারপ্রাইজ’ হিসেবে বাছাই করা হবে এবং এনপিওর কারিগরি সহায়তায় এসব কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, উভয় সংস্থা এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের সহায়তায় গবেষণা ও সক্ষমতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগেও একসাথে কাজ করবে।
এনপিও কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম এবং এনপিও সভাপতি মো. নুরুল আলম।
বিজিএমইএ প্রতিনিধি বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং সাপ্লাই চেইনের নতুন বাস্তবতায় ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। শুধুমাত্র কম খরচের ওপর নির্ভর না করে, এখন প্রয়োজন গুণগত মান, দক্ষতা, গতি ও উদ্ভাবনের সমন্বয়।
বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি, আইওটি ও ইনোভেশন সংযুক্ত করা জরুরি। বিজিএমইএ ও এনপিওর এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের টেকসই, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে রূপান্তরের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।”
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ