কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেনের বাড়িতে হামলার পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আলী হোসেনের স্ত্রী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। 

বুধবার রাতে রাশেদা আখতার সমকালকে জানান, তারা সপরিবারে কুমিল্লা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে হামলা চালানোর পর আগুন দেয়। 

জানা গেছে, জামশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি বাড়িটির দেখভাল করেন। জামশেদ তার তিন শিশুসন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন। রাত দেড়টার পর দুর্বৃত্তরা বাড়িটির দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় জামশেদ ও তার স্ত্রী-সন্তান এবং আশপাশের বাড়ির মানুষের চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভে। 

রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমার স্বামী আলী হোসেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালে ফেনীর বিলনিয়া সীমান্তে ৪নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীদের হুমকির মুখে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারছি না। এর আগেও দুষ্কৃতকারীরা একবার বাড়িটিতে হামলা চালায়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতারের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে বুধবার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কারা এই হামলা চালিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। তবে লিখিত অভিযোগ কেউ করেনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আখত র

এছাড়াও পড়ুন:

উপকূলজুড়ে দুর্ভোগ পাহাড়-বাঁধে ধস

নিম্নচাপ কেটে গেলেও উপকূলে দুর্ভোগ কমেনি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। তবে এর আগে দু’দিন ধরে হওয়া টানা বৃষ্টি উপকূলের জনজীবনে এনেছে চরম দুর্ভোগ। জলাবদ্ধতা, পাহাড় ও বেড়িবাঁধে ধস, রাস্তা ভেঙে যাওয়া, ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়া, নৌযান চলাচলে বিঘ্ন– সব মিলিয়ে বিপদে আছেন লাখ লাখ মানুষ।

গতকাল শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে গেলেও এর প্রভাবে সাত বিভাগের অনেক এলাকায় আরও এক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি রয়েছে, সমুদ্রবন্দরগুলোতেও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ ধরাসহ সব ধরনের নৌযান চলাচলে তৈরি হয়েছে বাধা।

দু’দিনের ভারী বর্ষণে পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মাছের ঘের তলিয়ে গেছে, ক্ষতি হয়েছে ফসলের। কোথাও কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে।  ঝড়বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যুৎ ও মোবাইলসেবা। তৈরি হয়েছে পাহাড়ধসের শঙ্কা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

ছয় জেলায় বন্যার শঙ্কা
গভীর নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিপাতে দেশের বেশির ভাগ নদনদীর পানি বেড়েছে। এর ফলে ছয় জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংস্থাটি জানায়, আগামীকাল রোববারের মধ্যে এসব নদীর পানি কমতে শুরু করতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, টানা বৃষ্টিতে দেশের প্রায় সব জায়গায় নদনদীর পানি বেড়েছে। ৬৭টি পর্যবেক্ষণকারী নদনদীর ৫০টিতেই পানি বেড়েছে। এগুলোর যে ১১৬টি পয়েন্টে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তার মধ্যে ৮৯টিতে বেড়েছে পানি।

বিভিন্ন স্থানে পাহাড়-বাঁধধস
টানা বৃষ্টিপাতে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদীতে সনাতনপাড়া, ব্লাকহিল ও উলুছড়া এলাকায় পাহাড় ধসে গেছে। বিদ্যানগর এলাকায় একটি বাড়িতে পাহাড় ধসে পড়লেও কেউ হতাহত হয়নি। সকালে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সদর সেনা জোন ও উপজেলা পরিষদ কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায় একটি গাছ উপড়ে পড়ে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীরা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শহরের লোকনাথ মন্দিরে ১৬ পরিবার আশ্রয় নেয়। এদিকে কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বান্দরবানে পাহাড়ধসে রুমা উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুর থেকে ওয়াইজংশন-রুমা সড়কের একটি অংশে পাহাড় ধসে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং পাহাড়ধসের আশঙ্কায় সাত উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। তবে এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ আসেননি। পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

হবিগঞ্জ শহরের খোয়াই নদীর পূর্ব ভাদৈ ও জালালাবাদ অংশে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। পূর্বভাদৈ অংশে প্রায় ৪০০ মিটার এলাকা ধসের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বলছেন, খোয়াই নদীর পানি বাড়লে দুটি বাঁধ ভেঙে পাশের এলাকাগুলো প্লাবিত হতে পারে।

মৌলভীবাজারের নদনদীগুলোর পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। খরস্রোতা জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সব নদীর পানি বাড়লেও প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে। ধলাই নদীর পানি বাড়ায় সিলেটের কোম্পানীঞ্জের পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর এলাকা ডুবে গেছে। একইভাবে ডাউকির পানি বাড়ায় ডুবে গেছে জাফলং পর্যটন কেন্দ্র।
খুলনার কয়রা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ভোরে হরিণখোলা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ১৩-১৪/২ নম্বর পোল্ডারের পাঁচটি স্থানের ৩০০ মিটার নদে ধসে পড়ে। এতে হুমকিতে পড়েছে বাঁধসংলগ্ন হরিণখোলা, ২ নম্বর কয়রা, গোবরা, ঘাটাখালী গ্রামসহ উপজেলা সদরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। জোয়ারের পানিতে বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাঙ্গাবালী উপজেলার পুরো চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পানিতে ডুবে ছিল। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে জেলার অন্তত ১০টি গ্রাম তলিয়ে যায়। ওইসব এলাকার ভুক্তভোগী পরিবারের মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে গলাচিপার পানপট্টি বোর্ড সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন একটি বেড়িবাঁধ ১৫০ মিটার ভেঙে যায়। এতে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর পানিতে পানপট্টির তিনটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। 
ভারী বৃষ্টির কারণে ভোলার মনপুরায় নির্মিতব্য বেড়িবাঁধের বালু সরে সৃষ্টি হওয়া খাদে পড়ে ওমর (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মনপুরা ইউনিয়নের মৎস্য ঘাটসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বালু খুঁড়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। ওমর কুলাগাজীর তালুক গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।

এদিকে ঝড় ও জ্বলোচ্ছ্বাসে ভোলার দুর্গম চরাঞ্চলের ৫ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ঘেরের মাছ ও গবাদি পশু। চরফ্যাসনের ঢালচর, চর পাতিলা, কুকরী-মুকরীতে ক্ষয়ক্ষতি হয় বেশি। বিধ্বস্ত হয়েছে ৩০০ বসতঘর। জোয়ারে ভেসে গেছে প্রায় ৭০০ গবাদি পশু। বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। তজুমদ্দিন উপজেলায় নির্মাণাধীন রিংবাঁধ ও লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।

টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই জোয়ারে কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানেই বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। নদীর তীর রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ চলমান। স্থানীয়রা বলছেন, বেড়িবাঁধ অসম্পূর্ণ থাকার কারণেই বারবার এ ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত টেকসই ও পূর্ণাঙ্গ বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে নদী উত্তাল হওয়ায় মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঝোড়ো বাতাসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাইভোল্টেজ কয়েকটি বিদ্যুতের তারসহ খুঁটি হেলে পড়েছে। দুই দিনের বৃষ্টিতে নগরীর বেশ কিছু সড়কে পানি উঠেছে। পানি বেড়েছে গোমতী নদীর।
বৈরী আবহাওয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে সব ধরনের নৌযান চলাচল গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে সারাদেশে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় দুই শতাধিক পরীক্ষার্থী।

সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের সর্বশেষ অংশে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে সাগরের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতায় মেরিন ড্রাইভে আঘাত হানছে। এতে টেকনাফ অংশের দুই কিলোমিটারের বিভিন্ন জায়গায় চারটি অংশে ভাঙন ধরেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও শুক্রবার রাতে বরিশাল থেকে দুটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

ঝোড়ো হাওয়া আর সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারটি জাহাজ তীরে উঠে গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আনোয়ারা ও পতেঙ্গা উপকূলে নৌযানগুলো তীরে উঠে আটকে পড়ে। চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমার আওতায় থাকা আনোয়ারা উপকূলে দুটি নৌযান আটকা পড়ে। এগুলো হলো মারমেইড-৩ ও নাভিমার-৩। এর মধ্যে মারমেইড-৩ বার্জ। নাভিমার-৩ টাগবোটের সাহায্যে এটি আনা-নেওয়া করা হয়। এদিকে আনোয়ারায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করেছে সেনাবাহিনী।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৩৮ মিলিমিটার। এটি এই মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। অতি ভারী বৃষ্টি ঝরলেও চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক। গতকাল বিকেলে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যুরো, অফিস ও প্রতিনিধি)


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ