ব্রাজিলকে রিয়াল মাদ্রিদের মতো খেলাতে চান আনচেলত্তি
Published: 30th, May 2025 GMT
কার্লো আনচেলত্তির অধীনে কেমন ফুটবল খেলবে ব্রাজিল? ইতালিয়ান এই কোচ পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রশ্নটি উঠেছে। আনচেলত্তি নিজেই তার উত্তর দিয়েছেন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। রিয়াল মাদ্রিদের খেলার ধাঁচে তিনি খেলাতে চান ব্রাজিলকে।
তবে একটা কিন্তু আছে। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে মাদ্রিদের ক্লাবটি যেমন ফুটবল খেলেছে তেমন নয়, তার আগের মৌসুমে যেমন খেলেছে ব্রাজিলকে সেভাবেই খেলাতে চান আনচেলত্তি।
আরও পড়ুনদুর্বৃত্তদের হুমকির এক বছর পর শৈশবের ক্লাবে ফিরলেন দি মারিয়া৪৬ মিনিট আগেদ্বিতীয় মেয়াদে চার বছর রিয়াল কোচের দায়িত্ব পালন করে এ মৌসুম শেষে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন আনচেলত্তি। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে তাঁর অধীনে বড় কোনো ট্রফি জিততে পারেনি রিয়াল। উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে এবং লা লিগায় হয়েছে দ্বিতীয়। হেরেছে কোপা দেল রে এবং স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল।
ওরা বিশ্বের সেরা জাতীয় দল। আমি বলছি সে জন্য নয়, ওদের জার্সিতে পাঁচটি তারকা আছে। এখন আমার সামনে ষষ্ঠটি (বিশ্বকাপ) জেতানোর চ্যালেঞ্জ। ইতালি? এ মুহূর্তে আমার স্প্যালেত্তি তাঁদের কোচিং করাচ্ছেন এবং তিনি গ্রেট কোচ। তারা (ইতালি) আমাকে ডাকেনি, যেটা ব্রাজিল বহু আগেই করেছে।ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তিকিন্তু তার আগের মৌসুমে (২০২৩–২৪) লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছে রিয়াল। আনচেলত্তি সে মৌসুমের রিয়ালের মতো খেলাতে চান ব্রাজিলকে, ‘আমার ব্রাজিল রিয়াল মাদ্রিদের মতো খেলবে। কিন্তু এ বছরের রিয়াল মাদ্রিদের মতো নয়, গত বছরের রিয়াল মাদ্রিদের মতো। আমি এটাই চাই। আমি জানি ব্যাপারটা নির্ভর করে খেলোয়াড়দের ওপর। মাঠে তাদের স্বস্তিতে থাকতে দিতে হবে। দলের শুধু একটি পরিচিতি থাকবে সেটা আমার অপছন্দ, আর তা স্মার্টও নয়।’
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি উঠেছিল যে গোলকিপারের গায়ে১ ঘণ্টা আগে৬৫ বছর বয়সী আনচেলত্তি ইতিহাসেরই সেরা কোচদের একজন। সর্বোচ্চ পাঁচবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের ইতিহাস গড়া এই কোচ কখনো তাঁর জন্মভূমি ইতালির জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নেননি। সেটি কেন এবং ব্রাজিলের দায়িত্ব কেন নিলেন, এ প্রশ্নের উত্তরে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘এটা সহজ। ওরা বিশ্বের সেরা জাতীয় দল। আমি বলছি সে জন্য নয়, ওদের জার্সিতে পাঁচটি তারকা আছে। এখন আমার সামনে ষষ্ঠটি (বিশ্বকাপ) জেতানোর চ্যালেঞ্জ। ইতালি? এ মুহূর্তে আমার স্প্যালেত্তি তাঁদের কোচিং করাচ্ছেন এবং তিনি গ্রেট কোচ। তারা (ইতালি) আমাকে ডাকেনি, যেটা ব্রাজিল বহু আগেই করেছে।’
মার্কা জানিয়েছে, চারজন নিরাপত্তারক্ষীসহ আনচেলত্তির যাতায়াতের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়িও দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। গত সোমবার ব্রাজিলের কোচ হিসেবে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেয় সিবিএফ। সাও পাওলোর করিন্থিয়ান্স অনুশীল সেন্টারে আগামী সোমবার প্রথমবারের মতো ব্রাজিল দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে অনুশীলনে নামবেন আনচেলত্তি।
আনচেলত্তির প্রথম পরীক্ষা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আগামী ৫ জুন ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ। ১০ জুন পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে ব্রাজিল। এই মহাদেশ থেকে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি খেলবে ২০২৬ বিশ্বকাপে। সপ্তম দলকে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ বাধা টপকে খেলতে হবে বিশ্বকাপে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র য় ল ম দ র দ র মত ব র জ লক ব শ বক প আম র স ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
যে ৫টি বিষয় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ফল নির্ধারণ করতে পারে
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আগামীকাল রাতে হবে মুখোমুখি ইন্টার মিলান ও পিএসজি। রিয়াল মাদ্রিদ–বার্সেলোনা–আর্সেনালের মতো ইউরোপিয়ান পরাশক্তিদের পেছনে ফেলেই শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে পৌঁছেছে এ দুই দল। ফাইনাল পর্যন্ত আসার পথে দুই দলই উপহার দিয়েছে দারুণ কিছু মুহূর্ত। এখন অপেক্ষা শেষ ধাপ পেরোনোর এবং ইউরোপসেরার মুকুট মাথায় পরার। মিউনিখে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বেশ কিছু ব্যাপার। এর মধ্যে ৫টি বিষয় এই আয়োজন।ইন্টারের রক্ষণ, পিএসজির আক্রমণ
ফাইনালে ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে পিএসজির রক্ষণ ও ইন্টারের আক্রমণ। পিএসজি পুরো টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অসাধারণ ফুটবল খেলেছে। ফাইনালে ওঠার পথে ফল বের করে আনার পাশাপাশি তাদের খেলায় নান্দনিকতার ছোঁয়াও লেগেছে। আক্রমণে ওঠার সময় পিএসজির আক্রমণভাগকে বরাবরই ত্রাস ছড়াতে দেখা গেছে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৬ ম্যাচে ৩৩ গোল করেছে তারা। ১৪ ম্যাচে ৪৩ গোল করে শীর্ষে থাকা বার্সার ঠিক পরেই পিএসজির অবস্থান।
আরও পড়ুনআর অপেক্ষা নয়, পিএসজিকে এবারই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে চান এনরিকে২৭ মে ২০২৫অন্য দিকে ইন্টার ১৪ ম্যাচে গোল করেছে ২৬টি। গোল দেওয়ায় পিছিয়ে থাকলেও গোল বাঁচানোয় পিএসজির চেয়ে এগিয়ে ইন্টার। ইতালিয়ান ক্লাবটির ১১ গোল হজম করার বিপরীতে পিএসজি গোল হজম করেছে ১৫টি। ইন্টারের ‘ক্লিন শিট’ ৮ ম্যাচে ও পিএসজি ৬ ম্যাচে।
দুই দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পিএসজি ম্যাচের যেকোনো পরিস্থিতি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। কিন্তু ইন্টারের নজর রেখেছে রক্ষণ ঠিক রেখে প্রতি–আক্রমণে জোর দেওয়ায়। নিজ নিজ কৌশলে দুই দলই এখন পর্যন্ত সাফল্য পেয়েছে। এখন ফাইনালে কে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে শ্রেষ্ঠত্বের পতাকা ওড়াতে পারে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
গোলপোস্টে পিএসজির ত্রাতা দোন্নারুম্মা