পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। এরই মধ্যে বুধবার (৪ জুন) শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও যানজটের দেখা মেলেনি। স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন সবাই।

শিল্পঅধ্যুষিত গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন লাখ লাখ শ্রমিক। ইতোমধ্যে অনেক কলকারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। ফলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ির দিকে রওনা হচ্ছেন পরিবার নিয়ে।  রাজধানীর প্রবেশমুখ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। 

এদিকে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে জেলা, মহানগর ও ট্রাফিক বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

আরো পড়ুন:

ঈদযাত্রায় উত্তরের পথে যানবাহনের চাপ দ্বিগুণ

ঈদযাত্রায় প্রস্তুত পাটুরিয়া-আরিচা নৌরুট

পরিবহন মালিক ও শিল্প কারখানা সূত্র জানা গেছে, এবার তিন পর্বে পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি হবে। গতকাল মঙ্গলবার ১০ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। আজ বুধবার  ৪০ ভাগ ছুটি হবে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ৫০ ভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি শুরু হবে। মূলত আজ বিকলে থেকেই দুই মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েকগুণ বাড়বে। কারখানা ছুটি হলে একসঙ্গে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ফিরতে মহাসড়কের নেমে আসবেন। ফলে সড়কে যাত্রী চাপের পাশাপাশি যানবাহনের সংকট ও যানজটের শঙ্কা রয়েছে। 

আজ সকালে উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ খ্যাত চন্দ্রা ত্রিমোড় গিয়ে দেখা যায়, আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়েছে যাত্রীর চাপ। তাদের প্রত্যেকের হাতেই একাধিক ব্যাগ ছিল। অনেকের মাথায় ছিল বস্তা। লম্বা ছুটি পাওয়ায় পরিবার-পরিজনকে অনেকেই আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সাধারণ সময়ের চেয়ে পরিবহনের ভাড়া কিছুটা বেশি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একতা পরিবহনের সহকারী শাহিন বলেন, “আজ সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেড়েছে। দুপুরের দিকে অনেক কারখানা ছুটি হবে, এরপর চাপ আরো কয়েকগুণ বাড়বে।” 

বগুড়ার ধুপচাচিয়া থানার পাইক পাড়া এলাকার কাওসার হোসেন বলেন, “১০ দিনের ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি। রাতে নাইট ডিউটি করে রওনা হয়েছি। রাস্তার পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে, আরামছে বাড়ি যেতে পারব। তবে বিকেলে এই পরিবেশ থাকবে না, কারণ অনেক কারখানা ছুটি হবে।” 

সালনা হাইওয়ে থানার ওসি শওকাতুল আলম বলেন, “যানজট যেন না হয় এজন্য পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আজ কিছুটা যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বিকেলে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে।”

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, “ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ঈদ র ছ ট ঈদয ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ