ঈদে বাড়ি ফেরা: গাজীপুরের ২ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
Published: 4th, June 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। এরই মধ্যে বুধবার (৪ জুন) শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও যানজটের দেখা মেলেনি। স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরছেন সবাই।
শিল্পঅধ্যুষিত গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন লাখ লাখ শ্রমিক। ইতোমধ্যে অনেক কলকারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। ফলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ির দিকে রওনা হচ্ছেন পরিবার নিয়ে। রাজধানীর প্রবেশমুখ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে জেলা, মহানগর ও ট্রাফিক বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
আরো পড়ুন:
ঈদযাত্রায় উত্তরের পথে যানবাহনের চাপ দ্বিগুণ
ঈদযাত্রায় প্রস্তুত পাটুরিয়া-আরিচা নৌরুট
পরিবহন মালিক ও শিল্প কারখানা সূত্র জানা গেছে, এবার তিন পর্বে পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি হবে। গতকাল মঙ্গলবার ১০ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। আজ বুধবার ৪০ ভাগ ছুটি হবে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ৫০ ভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি শুরু হবে। মূলত আজ বিকলে থেকেই দুই মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েকগুণ বাড়বে। কারখানা ছুটি হলে একসঙ্গে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ফিরতে মহাসড়কের নেমে আসবেন। ফলে সড়কে যাত্রী চাপের পাশাপাশি যানবাহনের সংকট ও যানজটের শঙ্কা রয়েছে।
আজ সকালে উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ খ্যাত চন্দ্রা ত্রিমোড় গিয়ে দেখা যায়, আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়েছে যাত্রীর চাপ। তাদের প্রত্যেকের হাতেই একাধিক ব্যাগ ছিল। অনেকের মাথায় ছিল বস্তা। লম্বা ছুটি পাওয়ায় পরিবার-পরিজনকে অনেকেই আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সাধারণ সময়ের চেয়ে পরিবহনের ভাড়া কিছুটা বেশি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একতা পরিবহনের সহকারী শাহিন বলেন, “আজ সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেড়েছে। দুপুরের দিকে অনেক কারখানা ছুটি হবে, এরপর চাপ আরো কয়েকগুণ বাড়বে।”
বগুড়ার ধুপচাচিয়া থানার পাইক পাড়া এলাকার কাওসার হোসেন বলেন, “১০ দিনের ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছি। রাতে নাইট ডিউটি করে রওনা হয়েছি। রাস্তার পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে, আরামছে বাড়ি যেতে পারব। তবে বিকেলে এই পরিবেশ থাকবে না, কারণ অনেক কারখানা ছুটি হবে।”
সালনা হাইওয়ে থানার ওসি শওকাতুল আলম বলেন, “যানজট যেন না হয় এজন্য পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আজ কিছুটা যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বিকেলে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে।”
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, “ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ঈদ র ছ ট ঈদয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আনচেলত্তির অভিষেকে মন ভরাতে পারল না ব্রাজিল
ইকুয়েডর ০ : ০ ব্রাজিল
নিজের প্রথম ম্যাচেই হতশ্রী ব্রাজিল দলকে কার্লো আনচেলত্তি আমূল বদলে দেবেন, এমন প্রত্যাশা হয়তো কেউ করেননি। কিন্তু ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে আতবিশ্বাস ও উন্নতির আশা নিশ্চয় অনেকেরই ছিল। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি।
ব্রাজিলের পারফরম্যান্স আনচেলত্তির চেয়ে বরং গত মার্চে আর্জেন্টিনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেওয়া দরিভাল জুনিয়রকেই বেশি মনে করিয়ে দিচ্ছিল। পুরো ম্যাচে বলার মতো তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি আনচেলত্তির শিষ্যরা। এমনকি ইকুয়েডর যদি ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা না দেখাত, তবে গোল শূন্য ড্র হওয়ার পরিবর্তে এই ম্যাচে হারতেও পারত ব্রাজিল।
এই ড্রয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর আছে দুই নম্বরে।
আরও পড়ুনএ মাসেই বিশ্বকাপের টিকিট পেতে ব্রাজিলের কী হিসাব, আর কারা পাচ্ছে টিকিট১২ ঘণ্টা আগেআনচেলত্তির প্রথম দিনের অনুশীলনের পরই ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশের কথা জানায় ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো। ইকুয়েডরের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে নিজের প্রথম ম্যাচে সেই একাদশই মাঠে নামান ইতালিয়ান এই কোচ। তবে আনচেলত্তির অধীনে এখনো মানিয়ে নিতে না পারার বিষয়টি ব্রাজিলের খেলায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।
হুটহাট কিছু ভালো আক্রমণ তৈরি করলেও, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতার বেশ অভাব ছিল। বল দখলে রাখতেও বেশ হিমশিম খাচ্ছিল ব্রাজিল। এ সময় ব্রাজিলের চেয়ে ইকুয়েডরই তুলনামূলকভাবে বেশি উজ্জ্বল ছিল। তবে প্রথমার্ধে গোল পায়নি তারাও।
বিরতির পর ব্রাজিলকে চেপে ধরে ইকুয়েডর। শুরু থেকেই আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে তারা। কিন্তু বক্সের কাছাকাছি গিয়ে খেই হারাচ্ছিল ইকুয়েডরের খেলোয়াড়রা। মাঝমাঠে ভালো খেললেও ফিনিশিংয়ে ইকুয়েডর খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না।
ইকুয়েডরের চাপের মুখে একপর্যায়ে জোড়া বদল আনেন আনচেলত্তি। রিচাার্লিসন ও এস্তেভাওয়ের পরিবর্তে মাঠে নামেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও ম্যাথিউস কুনিয়া। কিন্তু তাতেও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি ব্রাজিলের খেলায়।
ইকুয়েডরের ওপর সাময়িক কিছু চাপ প্রয়োগ করলেও তা গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ মিনিটে কাসেমিরোর শট ঠেকিয়ে ইকুয়েডরকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ভালে। এই ম্যাচের বেশিরভাগ সময় নিজেদের ছায়াতেই ঢাকা ছিলেন ব্রাজিলের আক্রমণভাগের খেলেোয়াড়রা।
ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাজিলের ওপর বেশ চাপ প্রয়োগ করে ইকুয়েডর। তবে ব্রাজিলের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করতে পারেনি ইকুয়েডর। ঘরের মাঠে পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।