ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আহত আরো একজনের মৃত্যু
Published: 4th, June 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনায় আহত ইউনুছ আলী (৬০) মারা গেছেন।
বুধবার (৪ জুন) ভোরে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হলো।
আরো পড়ুন: ঝিনাইদহে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
আরো পড়ুন:
শরীয়তপুরে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ২৩
ইউনুছ আলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাইপো অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান। ইউনুছ আলী উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হবিবার রহমানের ছেলে।
এদিকে, সংঘর্ষের ওই ঘটনায় অপর নিহত মহব্বত আলীর ছেলে এনামুল হক মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। তিনি মামলায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জামাল ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে অপর পক্ষ আরিফ হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত রবিবার সকালে ইউনিয়নের নাকোবাড়িয়া গ্রামে নজরুল ইসলাম ও আরিফের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে মহব্বত হোসেনকে ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়। রবিবার দুপুরে ফরিদপুরের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ছোট তালিয়ান গ্রামের তরিকুল ইসলাম বলেন, দুপুরের দিকে নজরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থক মহব্বত আলীর নিহতের খবর এলাকায় পৌঁছালে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩৫/৪০টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় গরু, ধান ও ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে গিয়েছে। বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েছি। পানি খাওয়ার একটি গ্লাসও বাড়িতে অবশিষ্ট নেই।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ইউনুছ আলী মারা গেছে। এ নিয়ে দুইজন মারা গেছেন।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত আহত ইউন ছ আল ল ইসল ম ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।
সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন।
অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।
মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”
মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”
নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
ঢাকা/ফিরোজ