বাজেটে আগের আমলের ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছে: গণ অধিকার পরিষদ
Published: 5th, June 2025 GMT
কালোটাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান–পরিপন্থী, বৈষম্যমূলক। এ বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এতে আগের আমলের ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো.
গণ অধিকার পরিষদ জানায়, গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার কর্মসংস্থান নিয়ে বিশদ পরিকল্পনা প্রকাশ করবে বলে সবার ধারণা ছিল। কারণ, চাকরিতে কোটা সংস্কার বা বৈষম্য দূরীকরণের আন্দোলন থেকেই গণ–অভ্যুত্থান রচিত হয়। কিন্তু বেকারদের জন্য আলাদা কোনো ঘোষণা নেই।
দলটি আরও জানিয়েছে, মানুষের আয় ও ব্যয়ের তারতম্য কমানো বা বেকারত্ব-দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সন্তুষ্ট করতে তাঁদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এতে ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য ও মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সমাজ ও রাষ্ট্রে সাম্য প্রতিষ্ঠায় সরকারের চিন্তা এই বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি।
শিক্ষা ও চিকিৎসা খাত নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চিন্তা আওয়ামী সরকারের চিন্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে দলটি। তারা বলেছে, বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থী ও বৈষম্যমূলক। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার এমন নীতি–বিবর্জিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতা এখনো ‘অপর্যাপ্ত’ উল্লেখ করে গণ অধিকার পরিষদ বলেছে, বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা নেই। বিশেষ করে শেয়ারবাজারে একের পর এক লোকসান অনেককে পথে বসিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে কার্যকর পরিকল্পনা দরকার ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র র
এছাড়াও পড়ুন:
তুরস্কে বিরোধী সিএইচপি–দলীয় আরও পাঁচ মেয়র গ্রেপ্তার
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) আরও পাঁচ মেয়রসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে দুর্নীতির অভিযোগে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সিএইচপির একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিএইচপির গ্রেপ্তার পাঁচ মেয়রের মধ্যে তিনজন ইস্তাম্বুলের জেলা মেয়র। অন্য দুজন দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা প্রদেশের মেয়র। এ ছাড়া দলটির সাবেক এক সংসদ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নতুন গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সিএইচপির মোট ৯ মেয়রকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁদের মধ্যে ইস্তাম্বুল নগরের মেয়র একরেম ইমামোগলুও রয়েছেন। জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী।
ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করা হয় গত ১৯ মার্চ। তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে সিএইচপির সমর্থকদের পাশাপাশি সমাজের নানা অংশ ও গোষ্ঠীর বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের চারটি পৃথক দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে গত শনিবার গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। ওই দিনই ৪৭ জন পৌর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পুলিশ এরই মধ্যে ইস্তাম্বুল সিটি হলের দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে ইমামোগলুর ব্যক্তিগত সচিব ও তাঁর নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছে।
সিএইচপি ইতিমধ্যে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলুকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন জরিপে তিনি এরদোয়ানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তবে নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন কি না, তা বিচার কার্যক্রমের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।
২২ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তা নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে এগিয়ে আনতে হবে। কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এরদোয়ান পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।