অস্ট্রেলিয়ার জন্য অঘটন-বার্তা দিলেন ডি ভিলিয়ার্স
Published: 7th, June 2025 GMT
বছরটা অভাগাদের। কিছু না জেতা বা দীর্ঘদিন শিরোপার স্বাদ না পাওয়া অনেক দলই এ বছর ট্রফির দেখা পেয়েছে। সে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএলের কথা বলুন কিংবা পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ আর টটেনহামের ইউরোপা লিগের কথা বলুন।
এই ধারা চলতে থাকলে এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জিততে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাও। সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে টেম্বা বাভুমার দল।
১১ জুন লর্ডসে শুরু হবে ২০২৩–২৫ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকা এবারই প্রথম ফাইনালে উঠলেও অস্ট্রেলিয়ার গত আসরে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এমনকি প্যাট কামিন্সের দলই টেস্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ভারসাম্যপূর্ণ দল এবং আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে চমকে দিতে পারি। আমি “অঘটন” বলছি কারণ অস্ট্রেলিয়া নিঃসন্দেহে এই ফাইনালের ফেবারিট।এবি ডি ভিলিয়ার্স১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপের পর বৈশ্বিক আসরে কোনো ট্রফি জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগেও কখনো বিশ্বকাপ জেতেনি দলটি।
আরও পড়ুনক্রিকেট মাঠে গরু কী করে? কাউ কর্নার বলছে পুরো গল্প৪ ঘণ্টা আগেতবে আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর সাম্প্রতিক আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা সব সংস্করণেই ভালো করেছে। গত বছর তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল, যদিও ফাইনালে হেরে গেছে ভারতের কাছে। দক্ষিণ আফ্রিকা খেলেছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও। এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে দলটি পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে ফাইনালে এসেছে। এরপরও অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে হারিয়ে দিলে এটা অঘটন হবে বলেই মনে করছেন ডি ভিলিয়ার্স। কারণ, তাঁর মতে এই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াই পরিষ্কার ফেবারিট।
এবি ডি ভিলিয়ার্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিডের জায়গায় ওয়াল্টার
নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল কোচ গ্যারি স্টিড। গত এপ্রিলের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান স্টিড। টেস্টের মেয়াদ ছিল জুনের শেষ পর্যন্ত। আগেভাগেই স্টিড জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তি শেষে বিদায় নেবেন তিনি।
তার জায়গায় নতুন কোচ পেয়েও গেছে ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচ রব ওয়াল্টারকে তিন বছরের জন্য সব সংস্করণের জন্য নিয়োগ দিয়েছে কিউইরা।
স্টিড দায়িত্ব ছাড়ার পর নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট সাদা ও লাল বলের জন্য আলাদা কোচ চেয়েছিল। পরবর্তীতে ওয়াল্টারকে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় তাকেই তিন সংস্করণে দায়িত্ব দিয়েছে তারা।
আরো পড়ুন:
নিউ জিল্যান্ডের ঘোরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরে ওয়াগনার
কিউদের বদলি অধিনায়ক ল্যাথামও চোটে
দায়িত্ব নিয়ে ওয়াল্টার বলেছেন, ‘নিউ জিল্যান্ড অনেক দিন ধরেই সফল একটি দল। তাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য দারুণ ব্যাপার। সামনে অনেক বড় বড় টুর্নামেন্ট ও সিরিজ আছে। আমি দারুণ রোমাঞ্চিত, চ্যালেঞ্জও অনেক বড়। কাজ শুরু করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
তার অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল বেশ সাফল্য পেয়েছিল। তার অধীনেই প্রোটিয়ারা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনাল এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। গত এপ্রিলে তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর চুক্তি নবায়ন করেননি ওয়াল্টার।
এবার তার সামনে নতুন মিশন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকট দল। তার অধীনেই ২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র, ২০২৬ ও ২০২৮ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে নিউ জিল্যান্ড অংশ নেবে।
এদিকে গ্যারি স্টিডও ছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা কোচ। ২০১৮ সালের মাইক হেসনের কাছ থেকে নিউ জিল্যান্ড দলের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত সাত বছরে দারুণ সব সাফল্য উপহার দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জয় উল্লেখযোগ্য।
২০১৯ বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলে ফাইনালে ওঠে নিউ জিল্যান্ড। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফাইনালে খেলে নিউ জিল্যান্ড। এছাড়াও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলে তারা। স্টিডের সাফল্যমণ্ডিত অধ্যায় শেষে ওয়াল্টার কিউইদের কতদূর নিয়ে যেতে পারে সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন