বছরটা অভাগাদের। কিছু না জেতা বা দীর্ঘদিন শিরোপার স্বাদ না পাওয়া অনেক দলই এ বছর ট্রফির দেখা পেয়েছে। সে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএলের কথা বলুন কিংবা পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ আর টটেনহামের ইউরোপা লিগের কথা বলুন।

এই ধারা চলতে থাকলে এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জিততে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাও। সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে টেম্বা বাভুমার দল।

১১ জুন লর্ডসে শুরু হবে ২০২৩–২৫ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকা এবারই প্রথম ফাইনালে উঠলেও অস্ট্রেলিয়ার গত আসরে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এমনকি প্যাট কামিন্সের দলই টেস্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।

দক্ষিণ আফ্রিকা ভারসাম্যপূর্ণ দল এবং আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী যে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে চমকে দিতে পারি। আমি “অঘটন” বলছি কারণ অস্ট্রেলিয়া নিঃসন্দেহে এই ফাইনালের ফেবারিট।এবি ডি ভিলিয়ার্স

১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপের পর বৈশ্বিক আসরে কোনো ট্রফি জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগেও কখনো বিশ্বকাপ জেতেনি দলটি।

আরও পড়ুনক্রিকেট মাঠে গরু কী করে? কাউ কর্নার বলছে পুরো গল্প৪ ঘণ্টা আগে

তবে আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর সাম্প্রতিক আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা সব সংস্করণেই ভালো করেছে। গত বছর তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল, যদিও ফাইনালে হেরে গেছে ভারতের কাছে। দক্ষিণ আফ্রিকা খেলেছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও। এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে দলটি পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে ফাইনালে এসেছে। এরপরও অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে হারিয়ে দিলে এটা অঘটন হবে বলেই মনে করছেন ডি ভিলিয়ার্স। কারণ, তাঁর মতে এই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াই পরিষ্কার ফেবারিট।

এবি ডি ভিলিয়ার্স.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে। ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র লড়াই থেকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে।

সম্প্রতি আরএসএফ এল-ফাশের শহরটি দখল করার পর এর বাসিন্দাদের নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে।

পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও সংঘাতের শুরু

১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।

বশিরের প্রায় তিন দশকের শাসনের অবসানের দাবিতে বিশাল জনবিক্ষোভ হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সামরিক-বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারটিকে উৎখাত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দেশটির কার্যত প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি ও আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।

এই দুই জেনারেল দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপে একমত হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে মূল বিরোধের বিষয় ছিল প্রায় এক লাখ সদস্যের আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং নতুন এই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে। ধারণা করা হয়, দুজন জেনারেলই তাঁদের ক্ষমতা, সম্পদ ও প্রভাব ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।

আরএসএফ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সেই লড়াই দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে এবং আরএসএফ খার্তুমের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও প্রায় দুই বছর পর সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।

জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান (বামে) এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (ডানে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী