কিলিয়ান এমবাপ্পে ক্লাব ছাড়লেন আর সে মৌসুমেই অধরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে গেল পিএসজি। কেমন লাগছে ফরাসি তারকার—এমনটা জানার আগ্রহ জাগতেই পারে। পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এমবাপ্পে নিজেই দিলেন সেই উত্তর। বললেন, এ নিয়ে তাঁর কোনো খেদ কিংবা আক্ষেপ নেই।

জার্মানির বিপক্ষে নেশনস লিগের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন এমবাপ্পে। সেখানেই ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী তারকা কথা বললেন পিএসজিকে নিয়ে, ‘আমি আগেভাগে (পিএসজি) ছাড়িনি। আমার পিএসজির সঙ্গে অধ্যায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমার কোনো খেদ নেই। সেখানে আমার পথচলা শেষ হয়ে গিয়েছিল।’

আমার তো চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু এটাই নিয়তি ছিল, আমাকে ছাড়াই ওরা জিতবে।কিলিয়ান এমবাপ্পে

গত ৩১ মে মিউনিখের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পেয়েছে পিএসজি। প্যারিসের ক্লাবটি প্রথমবারের মতো জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। সেই দলের অংশ হতে না পারা এমবাপ্পে বললেন, ভাগ্যে ছিল না বলেই এমনটা হয়েছে, ‘আমার তো চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু এটাই নিয়তি ছিল, আমাকে ছাড়াই ওরা জিতবে।’

আজ ফ্রান্সের অনুশীলনে ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন এমবাপ্পে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন এমব প প প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে

চলতি বছরের শুরুতে ৪০ পেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তার পা যেন বয়সকে পাত্তাই দেয় না। ফুটবল মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উপস্থিতি মানেই উত্তেজনা, প্রত্যাশা আর গোলের গন্ধ। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। এক প্রীতি ম্যাচে ফরাসি ক্লাব তুলুজের বিপক্ষে দারুণ এক গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন পর্তুগিজ তারকা।

অস্ট্রিয়ার আন্টার্সবার্গ-অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই গ্রীষ্মকালীন ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল সৌদি ক্লাব আল-নাসর। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ইয়ান বোহোর গোলে এগিয়ে যায় তুলুজ। কিন্তু খেলা তখনও শেষ হয়নি। কারণ, মাঠে ছিলেন রোনালদো।

৮ মিনিট পরই পাল্টা জবাব দেন আল-নাসরের ফরোয়ার্ড ওয়েসলি। প্রতিপক্ষের রক্ষণের ফাঁক গলে তার পাস পেয়ে বল জালে জড়ান রোনালদো, দারুণ এক ওয়ান টাচ ফিনিশে। সমতায় ফেরার পর আল-নাসরের খেলায় আসে নতুন ছন্দ।

আরো পড়ুন:

মেসির জাদুতে জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি, ডি পলের অভিষেকে উচ্ছ্বাস

মেসি বনাম ইয়ামাল: ফিনালিসিমার সময়সূচি ঘোষণা

দ্বিতীয়ার্ধে একাধিকবার সুযোগ তৈরি করেন রোনালদো। একটি সুযোগ তো প্রায় নিশ্চিত গোল হয়ে যেত, যদি না জোয়াও ফেলিক্সের সঙ্গে বোঝাপড়ায় সামান্য ভুল হতো। বাঁ দিক থেকে আসা ক্রসটিতে দুজনই একসঙ্গে পা লাগাতে গিয়ে গোলটা মিস করেন।

তবে ম্যাচে তার প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। একাধিকবার দূরপাল্লার শটে তুলুজ গোলরক্ষককে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন। শুধু গোলই নয়, তার দৌড়, পাস, আর শারীরিক ভাষা বুঝিয়ে দিচ্ছিল; তিনি থামার মতো কেউ নন।

৭৬তম মিনিটে মোহাম্মদ মারান দুর্দান্ত এক হেডে আল-নাসরের জয় নিশ্চিত করেন। নাওয়াফ বুশালের দুর্দান্ত ক্রসে ভেসে ওঠা হেডটি সোজা গোললাইনের ভেতর গিয়ে জড়ায়।

ম্যাচ শেষে রোনালদো ফেসবুকে নিজের ‘সিউ’ উদযাপনের ছবি পোস্ট করে লেখেন, “এই ক্ষুধা কখনোই শেষ হবে না। আমরা কেবল শুরু করেছি।” তার এই বার্তা যেন একধরনের হুঙ্কার, এক নতুন লড়াইয়ের ইঙ্গিত।

আল-নাসরে যোগ দেওয়ার পর বড় কোনো শিরোপা জেতা না গেলেও রোনালদো থেমে থাকেননি। গত মৌসুমে সব মিলিয়ে ৩৫টি গোল করেছেন ক্লাবটির হয়ে। এবার নতুন চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সাল পর্যন্ত আল-নাসরে থাকছেন। লক্ষ্য এবার আরও বড়; ট্রফি জয় এবং ক্যারিয়ারে ১০০০ গোলের ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করা।

আল-নাসরের পরবর্তী প্রীতি ম্যাচ আগামী ১০ আগস্ট, স্পেনের পাওয়ার হর্স স্টেডিয়ামে লা লিগার ক্লাব আলমেরিয়ার বিপক্ষে। আর মৌসুমের প্রথম বড় লড়াই শুরু ১৯ আগস্ট, সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে আল-ইত্তিহাদের বিপক্ষে। সেই লড়াইয়ের আগে রোনালদোর এই বার্তা একটাই— তাকে এখনো অনেক কিছু জিততে হবে!

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ