কোরবানির মাংস নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন, ছোট ভাইসহ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের
Published: 8th, June 2025 GMT
কোরবানির মাংস নিয়ে শ্বশুবাড়িতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সাহেদ হোসেন (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই রুমন আহমেদও (২২) প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও বড়লেখা থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেলে করে কোরবানির মাংস নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন সাহেদ। সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই রুমন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাঁঠালতলি বাজারের কাছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে বিপরীতমুখী প্রাইভেটকারের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহেদ মারা যান। গুরুতর আহত হন রুমন।
স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি মারা যান।
বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিউটন দত্ত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এক ভাইয়ের (সাহেদ) মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পরপরই আরেক ভাইয়ের (রুমন) মৃত্যুর খবর মিলে।’
পুলিশ কর্মকর্তা নিউটন দত্ত আরও বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দুই ভাইয়ের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বড়ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম