কোরবানির মাংস নিয়ে শ্বশুবাড়িতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সাহেদ হোসেন (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই রুমন আহমেদও (২২) প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও বড়লেখা থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেলে করে কোরবানির মাংস নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন সাহেদ। সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই রুমন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাঁঠালতলি বাজারের কাছে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে বিপরীতমুখী প্রাইভেটকারের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহেদ মারা যান। গুরুতর আহত হন রুমন।

স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি মারা যান।

বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিউটন দত্ত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এক ভাইয়ের (সাহেদ) মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পরপরই আরেক ভাইয়ের (রুমন) মৃত্যুর খবর মিলে।’

পুলিশ কর্মকর্তা নিউটন দত্ত আরও বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দুই ভাইয়ের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বড়ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ। তিনি আর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান না।

শনিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে কী না? জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তা-ই ধরেই নিচ্ছি।’ খবর বিবিসির

মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প স্পষ্টভাবে ‘না’ বলে দেন। এই মন্তব্য সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে মাস্কের সঙ্গে তার প্রকাশ্য বিরোধের সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ।

টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে কোটি ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তিনি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলের কঠোর সমালোচনা করেন।

সম্প্রতি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে কটাক্ষ করেন মাস্ক। তার ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না সেটা আর থাকবে কি না।’

মাস্ককে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, এখানে উপস্থিত অন্য যে কারও চেয়ে তিনি এ বিলের ভেতরের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ভালো জানতেন। হঠাৎই এটি নিয়ে তার সমস্যা শুরু হয়েছে।’ তবে ট্রাম্পের এ দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক।

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। এসব পোস্টে ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। প্রমাণ না দিলেও মাস্ক দাবি করেছেন, ট্রাম্প ‘এপস্টেইন ফাইল’-এ আছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ