পৃথিবীর ঋতুগত ছন্দের পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ঋতু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুতন্ত্রের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। এতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্র ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সবুজ বন থেকে শুরু করে মেরুবরফের স্তূপ পর্যন্ত পৃথিবীর ঋতুগত ছন্দের কারণে প্রভাবিত হয়। মানুষসহ বেশির ভাগ প্রজাতি নিজস্ব ছন্দকে পৃথিবীর ঋতুর সঙ্গে সমন্বয় করে বলে বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন উদ্ভিদে বৃদ্ধিচক্র, কোটি কোটি প্রাণীর স্থানান্তর থেকে শুরু করে মানুষের সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিভিন্ন কাজ যেমন ফসল কাটার আচার থেকে শুরু করে জাপানি চেরি ফুল দেখার সঙ্গেও ঋতুর সংযোগ রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্য অনেক মানবসৃষ্ট কাজের প্রভাব পৃথিবীর ঋতুচক্রের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষ ফসল কাটার সময় বা আদিবাসীদের বিভিন্ন কার্যকলাপ পরিবর্তনের মাধ্যমে আচরণকে খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও অন্য সব প্রজাতি খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না।

নিউজিল্যান্ডের ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কাজ করছেন। বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল হার্নান্দেজ ক্যারাসকো বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশগত প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব পড়ছে। অনেক বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মুখে। প্লাঙ্কটনের বিকাশে প্রভাব পড়ছে। অনেক মাছের জীবনচক্র বদলে যাচ্ছে। এতে মৎস্যজীবীদের ওপর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৌসুমি অভিবাসনের ওপর নির্ভরশীল পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ঋতু পরিবর্তনের ফলে মূল পরিবেশগত প্রক্রিয়া ও মানবসমাজ অস্থিতিশীল হওয়ার হুমকির সম্মুখীন। ঋতু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ আগেই গলে যাচ্ছে। তুষারপাতের নিয়মিত ঘটনা বদলে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক জায়গায় মৌসুমি বৃষ্টিপাতের চক্র ব্যাহত হচ্ছে। পরিযায়ী পাখির আগমন ও প্রস্থান, পোকামাকড়সহ উভচর প্রাণীর জীবনচক্র আর বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজননে ঋতুর প্রভাব রয়েছে। সবকিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ