ভুল করে মায়ের ইনজেকশন নবজাতককে, অতপর...
Published: 11th, June 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভুল করে মায়ের ইনজেকশন নবজাতকের শরীরে পুশ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে শিশুটিকে জেলা সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকদের কয়েকদিনের আন্তরিক চেষ্টায় শিশুটি আশঙ্কামুক্ত হয়ে মঙ্গলবার বাড়ি ফিরেছে।
শিশুটির বাবা হোসেনপুরের আড়াইবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা। তিনি নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় একটি ডায়িং কারখানায় চাকরি করেন। রোববার হোসেনপুরের মডার্ণ জেনারেল হাসপাতাল নামক একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সোহেলর স্ত্রী তন্বী আক্তার সিজারের মাধ্যমে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। সিজার করেন ক্লিনিকের মালিক ডা.
শিশুটিকে চিকিৎসা দিয়েছেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সুজিত দাস। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার শিশুটির চিকিৎসার তদারকি করেন।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সুজিত দাস বলেন, এ ধরনের শিশুকে নিউনেটাল ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে আলাদা কোন নিউনেটাল ওয়ার্ড নেই। সাধারণ শিশু ওয়ার্ডে (পেডিএট্রিক ওয়ার্ড) ভর্তি রেখে শিশুটির দিকে সবসময় খেয়াল রাখা হয়েছে। আপাতদৃষ্টে শিশুটিকে ভাল মনে হলেও যে কোন সময় খারাপের দিকেও যেতে পারতো। শঙ্কামুক্ত হওয়ায় শিশুটিকে মঙ্গলবার বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা সোহেল রানা জানান, তিনি ঘটনাটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান ও সিভিল সার্জন ডা. অভিজিৎ শর্ম্মাকে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মডার্ণ জেনারেল হাসপাতালের মালিক শাহীন সুলতানা মীরার ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
সিভিল সার্জন ডা. অভিজিৎ শর্ম্মা বলেছেন, জেলায় এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। শিশুটি সুস্থ হওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক র অবহ ল ক শ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুল
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন। একই সঙ্গে যেকোনো অপারেটরকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব (নিযুক্ত) দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি অনুসারে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক বিডিং (দরপত্র আহ্বান) নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আরও পড়ুননতুন ব্যবস্থাপনায় নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনা শুরু০৭ জুলাই ২০২৫নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন রিটটি করেন। রিটে নৌসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
‘নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে, তবু কেন বিদেশির হাতে যাচ্ছে’ শিরোনামে গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ প্রতিবেদনসহ এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এনসিটি পরিচালনায় ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
আগের ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত ২৩ জুলাই আদেশের জন্য দিন রাখেন। ধার্য তারিখে আদালত আদেশের জন্য ৩০ জুলাই দিন রাখেন। এ অনুসারে আজ বিষয়টি আদেশের জন্য আদালতের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর আদালত আদেশ দেন। আদালত বলেন, শুধু রুল দেওয়া হলো।
আদেশের সময় রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আহসানুল করিম এবং আইনজীবী কায়সার কামাল ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার নতুন দায়িত্ব নিয়েছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড। টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৬ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ দায়িত্ব নেয় জাহাজ মেরামতের এ প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো বন্দরে টার্মিনাল পরিচালনায় যুক্ত হলো চিটাগং ড্রাইডক।
চট্টগ্রাম বন্দরের বৃহৎ এই টার্মিনাল নির্মিত হয় ২০০৭ সালে। টার্মিনালটি নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনারের সিংহভাগ এই টার্মিনাল দিয়ে পরিবহন হয়।