‘সিংহের মতো বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো’ বাভুমা কি আজ ফিরবেন
Published: 14th, June 2025 GMT
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান। লর্ডসে কাল তৃতীয় দিনে তৃতীয় উইকেটে ১৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন এইডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমা। চতুর্থ দিনে আজ দুজনের মাঠে নামার কথা। তবে বাভুমার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল কাল দিনের খেলা শেষে।
আরও পড়ুনবাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি১ ঘণ্টা আগেচতুর্থ দিনে বাভুমা ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন কি না, তাঁর শারীরিক ফিটনেসের কী অবস্থা—এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমে। প্রিন্সের ভাষায়, ‘ক্যারিয়ারজুড়েই তাঁকে লড়াই করতে হয়েছে এবং এটা তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তও হতে পারে। টেস্ট ক্রিকেটের দৃষ্টিকোণ থেকে আমার মতে এটা সবচেয়ে বড় মঞ্চ। আমার মনে হয়, ম্যাচের শেষে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত।’
লর্ডসে কাল তৃতীয় দিনের খেলা দেখে থাকলে বাভুমার চোটের বিষয়টি নিশ্চয়ই জানা আছে। চা–বিরতির দুই ওভার আগে বাভুমা ৬ রানে ব্যাট করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। মাঠেই বেশ সময় নিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরও দৌড়ে রান নিতে তাঁর অসুবিধায় ভোগার ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু ১২১ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে ঠিকই তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেন বাভুমা। অন্য প্রান্তে সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্করাম।
দুজনের ব্যাটিংয়েরই প্রশংসা চলছে ক্রিকেট মহলে। তবে বাভুমার দৃঢ়তা সবার চোখে পড়েছে আলাদা করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি হ্যান্ডল থেকে কাল যেমন লেখা হয়, ‘অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছেন। কিন্তু তিনি সিংহের মতো বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।’
আরও পড়ুনস্বপ্ন পূরণ হতে ৬৯ রান দরকার, এবার কি পারবে ‘চিরকালের চোকার’ দক্ষিণ আফ্রিকা১২ ঘণ্টা আগেপ্রশ্ন হচ্ছে, কাল বাভুমাকে তো রিটায়ার্ড হার্ট দেখিয়েও ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে আনতে পারত প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট। কেন তা করা হয়নি, সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রিন্স, ‘সে ব্যাটিং চালিয়ে যাবে কি না, (চালিয়ে গেলে) তার স্ট্রোক প্লেতে কেমন প্রভাব ফেলবে এবং এইডেনের ওপরও তা কেমন প্রভাব ফেলবে—এসব বিষয়ে আমাদের বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’ প্রিন্স এরপর বলেছেন, ‘এই জুটিটাই যে চাবিকাঠি, এইডেন সে বিষয়ে অবিচল ছিল। হ্যাঁ, ত্রিস্তান (ক্রিজে) গেলে বাভুমার উইকেট তো আমাদের হাতে থাকতই, কিন্তু সেটা হতো নতুন এক জুটি। তারা ভালো বোধ করছিল এবং চালিয়ে যেতে চাইছিল।’
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে রাতে বাভুমা কতটা ঘুমাতে পারছেন এবং তখন তাঁর শরীর কতটা পুষিয়ে নিতে পারছে, এর ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। প্রিন্স অবশ্য বলেছেন, ‘টেম্বা শক্ত চরিত্রের। তার প্রতি দারুণ সম্মানবোধ রয়েছে এইডেনের (মার্করাম)।’
তবে বাভুমার রাতের ঘুমে যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, সেই ইঙ্গিত কিন্তু দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন। একে তো ফাইনাল ম্যাচ এবং ২৭ বছর পর প্রথম আইসিসি ট্রফি জিততে খুব অল্প রানই প্রয়োজন প্রোটিয়াদের। হাতেও আছে ৮টি উইকেট। এ অবস্থায় শরীর ও মনে উত্তেজনা ভর করাই স্বাভাবিক। এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে পিটারসেন তাই লিখেছেন, ‘জয়টা খুব কাছে, তবু ঘুমটা হবে স্নায়ুর চাপ নিয়ে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এইড ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।