৪৫ কেজি মণ হিসাবে আম কিনে ৪০ কেজিতে বিক্রি, ঠকছেন গৃহস্থ ও খুচরা ক্রেতা
Published: 14th, June 2025 GMT
জয়পুরহাটে গৃহস্থদের কাছ থেকে ৪৫ কেজিতে ১ মণ হিসাবে নাকফজলি আম কিনে তুলনামলূক বেশি দাম ও কম পরিমাণে (৪০ কেজিতে ১ মণ ধরে) বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পাইকারী বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, ৪৫ কেজি নাকফজলি আম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনে খুচরা বাজারে ৪০ কেজি হিসাবে ১ মণ ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে গৃহস্থ ও খুচরা ক্রেতা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের রেলগেট এলাকায় এভাবেই সিন্ডিকেট করে আম কেনাবেচা হচ্ছে। খুচরা ক্রেতা ও গৃহস্থরা আম ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রশাসনের নজরদারির দাবি করেছেন।
প্রতিবেশী নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে নাকফজলি আমের উৎপাদন হয়। সেখানকার এই আম অন্য এলাকার চেয়ে সুস্বাদু। প্রতিবছর আমের মৌসুমে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের কিশোর মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত সড়কে এই আমের পাইকারি বাজার বসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত আম কেনাবেচা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারেরা সেখানে গিয়ে আম কেনেন।
আজ শনিবার সকালে আক্কেলপুর পৌর শহরের রেলগেট এলাকায় কয়েকজন গৃহস্থ ও খুচরা আম ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগে নাকফজলি আম ১ হাজার ৪০০ টাকা মণে বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর নাকফজলি আমের আমদানি বেড়েছে। এ কারণে আমের মণ ৬০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে। ৪০ কেজিতে মণ হলেও পাইকারেরা গৃহস্থদের কাছ থেকে ৪৫ কেজি মণে আম কিনছেন। কিন্তু পাইকারেরা দোকানে সেই আম ৪০ কেজিতে মণ ধরে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
বদলগাছীর ভান্ডারপুর গ্রামের আমচাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, আক্কেলপুর বাজারে ৮০০ টাকা দরে ৩ মণ নাকফজলি আম বিক্রি করেছেন। ৩ মণ আমে ১৫ কেজি বেশি দিতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এটি চলে আসছে, যা অন্যায়। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
অন্যদিকে রেলগেট এলাকা থেকে (৪০ কেজিতে মণ ধরে) ১ মণ নাকফজলি আম ১ হাজার ২০০ টাকায় কেনার দাবি করেন খুচরা বিক্রেতা কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দোকানিরা প্রতি মণে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ করছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৪০ ক জ ত ৪৫ ক জ আম ক ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে
ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন
গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।
ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।
একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)
পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।
অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণকাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।
কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।
রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।
ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।
আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণকাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।
কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।
পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।
হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ
মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ
বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ
কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ীসিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)
সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)
খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।
দাগ দূর করার টিপসকোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।
পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।
এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।
পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবেকাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।
কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।
লন্ড্রি পড ব্যবহার করলেছোট লোড: ১ পড
মাঝারি লোড: ২ পড
বড় লোড: ৩ পড
সূত্র: গুড হাউসকিপিং
আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে