হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় রেললাইনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে এক চা–শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চা–শ্রমিকের নাম সাগর মাল (২৮)। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা–বাগানের বাসিন্দা। খবর পেয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রেলওয়ের শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা হয়েছে।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথের তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশনের কাছে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। তখন সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তেলিয়াপাড়া স্টেশনের কাছাকাছি এসে পড়লেও সাগর বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরে ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পরিদর্শক (এসআই) জয় পাল, উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হান্নানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

এসআই জয় পাল প্রথম আলোকে জানান, অসাবধানতাবশত রেললাইনের ওপরে মুঠোফোনে কথা বলার সময় ওই ব্যক্তি নিহত হন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় রেলওয়ের শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ

নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুজন হলেন রাবেয়া বসরী (২৩) ও তাঁর চার বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম। উদ্ধারের পর লাশ দুটি সুধারাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাবেয়া বসরীর স্বামী আবদুর রহমান ওরফে রুবেল (৩৮) পেশায় কসাই। রাবেয়া তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাবেয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

কাদিরহানিফ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম নিহত রাবেয়ার স্বামী আবদুর রহমানের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে আবদুর রহমান তাঁর ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ও স্ত্রী রাবেয়া বসরীর লাশ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। তিনি চিৎকার দিলে পাশের ঘর থেকে তাঁর ভাইসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে তিনিও (ইউপি) ওই বাড়িতে যান।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মা ও মেয়ের লাশ পৃথক দুটি রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। স্বামীর দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দেড়টার দিকে ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের কাপড়চোপড় এলোমেলো, কক্ষের ভেতর তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীর লাশ ঝুলছে। তখন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।

এসআই লন্ডন চৌধুরী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য স্বামী আবদুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে মা-মেয়ের মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে ৬ যানবাহনের সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২
  • গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
  • নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ