আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসর নিয়ে ফেললেও দেশের ক্রিকেট নিয়ে ভাবনা কমেনি তামিম ইকবালের। বরং এবার বোর্ডের ভবিষ্যৎ গঠনে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন সাবেক এই অধিনায়ক। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, শুধু পদ পাওয়ার জন্য নয়, সত্যিকারের পরিবর্তনের চেষ্টা করতেই তিনি বোর্ডে যেতে চান।

সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘আমরা বোর্ডে গেলে ক্রিকেটের ভালো করার জন্যই যাওয়া উচিত। এখন যেভাবে বিসিবি চলছে, ওইভাবে যেতে হলে না যাওয়াই ভালো। আমি খুবই পরিষ্কার এই ব্যাপারে। শুধু বোর্ডের পরিচালক হওয়া বা কোনো পদ নেওয়ার শখ আমার নেই।’

তবে পরিবর্তন আনতে হলে যে সহজ পথ নেই, সেটাও স্বীকার করলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ‘নির্বাচনটা কীভাবে হয়, তা আমরা জানি। আমি যে সুন্দর একটা বোর্ডের চিন্তা করছি, বাস্তবে সে সুযোগ কম। পরিবর্তন করা না গেলে আমাদের মতো লোকজনের দরকার কী?’, বললেন তামিম।

কাজের স্বাধীনতা থাকলে পরিচালক হওয়া নিয়ে ভাবতে পারেন বলে জানান তামিম, ‘বোর্ডে ২৫ জন পরিচালক থাকেন। সবার সঙ্গে বোঝাপড়া সব সময় ভালো থাকে না। তবে সবাইকে অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হয়। ১০ জনের উদ্দেশ্য যদি ব্যক্তিস্বার্থ হয়, তাহলে আমার পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ