ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৩৫ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন, বেতন-ভাতায় খরচ ৬৩%
Published: 17th, June 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাজেটের ৮৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আসবে ৯০ কোটি টাকা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায় বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, ইউজিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১ হাজার ২৫১ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৮৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। বারবার চাহিদার চেয়ে কম টাকা বরাদ্দ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বিনিয়োগ কমে আসছে।
কোন খাতে কত বরাদ্দ
প্রস্তাবিত বাজেটের ৬২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৬৪৮ কোটি ২৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয় হবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনে। এ ছাড়া পণ্য ও সেবা-সহায়তা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ দশমিক ৬২ শতাংশ বা ২৮৫ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার টাকা। গত বছর প্রস্তাবিত বাজেটের ৬৭ শতাংশ ব্যয় হয়েছিল শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনে।
২০২৪-২৫ সেশনের বাজেটে গবেষণা খাতে ২০ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা সামান্য বাড়িয়ে ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা করা হয়েছে, যা মোট বাজেটের মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
এ বিষয়ে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাজেট প্রণয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর বাইরে যাওয়া যায় না।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে গবেষণা খাতের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি তিনি প্রস্তাব আকারে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। যত দিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক স্বাধীনতা না আসবে, সরকারের ওপর নির্ভরশীল থাকবে, তত দিন পর্যন্ত মান বাড়ার সুযোগ থাকবে না।
সিনেট অধিবেশন অনিশ্চিত
জুন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন আয়োজনের কথা থাকলেও এবার তা হচ্ছে না। এমনকি জুলাইয়ের মধ্যেও তা হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এ বছর প্রশাসনিক জটিলতায় সিনেট অধিবেশন নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, ১৫ জুন সিনেটের ২৫ জন শিক্ষকপ্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৩৫ রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অনেকে ফ্যাসিবাদের সহযোগী রয়েছেন। তা ছাড়া সিনেটে সরকার থেকে প্রতিনিধি থাকেন, এখনো সরকার থেকে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর দ দ
এছাড়াও পড়ুন:
নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন কত টাকা পাবে, সপ্তম হওয়া বাংলাদেশ পেয়েছে কত
৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ২০২৫ আইসিসি নারী বিশ্বকাপ শেষ হচ্ছে আজ। নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ট্রফির জন্য লড়বে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের জন্যই প্রথমবার শিরোপা জয়ের সুযোগ এটি। তবে ট্রফির পাশাপাশি অর্থের হাতছানিও কম নয়।
বিশ্বকাপ জিতলে ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হওয়া দলের প্রাপ্তি চ্যাম্পিয়নের ঠিক অর্ধেক—২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। দুই ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে কারা কত পায়, সেটি জানতে তাই ফাইনালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাকি ৬ দলের কারা কত পাচ্ছে, সেই হিসাব এরই মধ্যে সম্পন্ন।
এবারের নারী বিশ্বকাপে মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার রেখেছে আইসিসি, যা ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আসরে ছিল মাত্র ৩৫ লাখ ডলার। এমনকি ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ছেলেদের বিশ্বকাপেও মোট প্রাইজমানি ছিল কম—১ কোটি ডলার।
রেকর্ড অর্থ পুরস্কারের কারণে প্রতিটি দলের প্রাপ্তিও বেড়েছে। পুরস্কারগুলো মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে অংশগ্রহণ, টুর্নামেন্টে অবস্থান এবং জয়সংখ্যা। এর মধ্যে প্রথমটি সবার জন্যই সমান। অর্থাৎ বাংলাদেশ যা পাবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলও তা-ই পাবে। এই খাত থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে আড়াই লাখ ডলার।
আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কেমন খেলল বাংলাদেশের মেয়েরা২৭ অক্টোবর ২০২৫টুর্নামেন্টে অবস্থানের ভিত্তিতে যে অর্থ, সেখানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের অর্থের পরিমাণ তো আগেই বলা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী অন্য ৬ দলের মধ্যে দুই সেমিফাইনালিস্ট ১১.২০ লাখ ডলার করে, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে দুই দল ৭ লাখ ডলার করে আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দুই দল ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার করে পাচ্ছে। বাংলাদেশ লিগ পর্বের খেলায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম হয়েছে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২.৮০ লাখ ডলার।
তৃতীয় খাত জয়ের সংখ্যায়। বাংলাদেশ দল ৭ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে একটিতে—পাকিস্তানের বিপক্ষে। এখান থেকে জয় বাবদ ৩৪ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ বাবদ আড়াই লাখ, সপ্তম হিসেবে ২.৮০ লাখ এবং এক জয় বাবদ ৩৪৩১৪ ডলার মিলিয়ে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার পাচ্ছে, যা বর্তমান মুদ্রাবাজার অনুসারে (১ ডলার= ১২২.৩২ টাকা ধরে) বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
আরও পড়ুননারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বাড়ল চার গুণ, কোন দল কত টাকা পাবে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫