মুসলিম বিশ্বকে বদলে দেওয়া এক বিদ্যাপীঠ
Published: 18th, June 2025 GMT
ইসলামের ইতিহাসে সেলজুক যুগে শিক্ষার ক্ষেত্রে এমনই এক বিপ্লব সংঘটিত হয়, যা পুরো মুসলিম বিশ্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। এই বিপ্লবের নাম নিজামিয়া মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাগুলো শুধু শিক্ষার কেন্দ্র ছিল না, বরং ইসলামি সভ্যতার পুনর্জাগরণের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
সেলজুক মন্ত্রী নিজামুল মুলক তুসির দূরদর্শী চিন্তা ও পরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসাগুলো জ্ঞানের বিস্তার, সুন্নি মতবাদের প্রচার এবং শিয়া প্রভাব মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। কোরআনের ভাষায়, ‘আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার ইবাদতের জন্য।’ (সুরা যারিয়াত, আয়াত: ৫৬)
এই আয়াতের আলোকে নিজামিয়া মাদ্রাসা ইলম ও তাকওয়ার মাধ্যমে ইবাদতের পথকে প্রশস্ত করেছে।
নিজামিয়া মাদ্রাসার উৎপত্তিনিজামিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা ইসলামি শিক্ষার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। যদিও কোনো কোনো ঐতিহাসিক মনে করেন, মাদ্রাসার সূচনা দ্বিতীয় বা তৃতীয় হিজরি শতকে হয়েছিল, তবে নিজামুল মুলক ৪৫৯ হিজরিতে বাগদাদে প্রথম নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষাকে একটি সুনির্দিষ্ট ও সংগঠিত কাঠামোয় নিয়ে আসেন।এর আগে শিক্ষা মূলত মসজিদের হালাকায় স্বেচ্ছাভিত্তিক ছিল।
সেলজুক আমলে (১০৬৮ ইং) নির্মিত ইরানের খারগির্দে অবস্থিত নিজামিয়া শিক্ষাব্যবস্থায় পরিচালিত একটি মাদ্রাসা ভগ্নাবশেষ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট