আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ (ভোলা সদর) আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীরকে প্রার্থী হিসেবে চান বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার উকিলপাড়া–সংলগ্ন পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এমন দাবি করেন।

ভোলা পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন গোলাম নবী আলমগীর।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ভোলা-১ আসনে গোলাম নবীর কোনো বিকল্প নেই। যখন বাংলাদেশের কোথাও কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল না, তখনো ভোলায় গোলাম নবীর নেতৃত্বে সফলভাবে ফ্যাসিস্ট হটাও আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আন্দোলন–সংগ্রাম করে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা পুলিশের সামনে বুক পেতে দিয়েছেন। সেই নেতাকে ছেড়ে অন্য কাউকে ভোলা-১ আসনে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা মেনে নেবেন না।

নেতা-কর্মীর উদ্দেশে গোলাম নবী বলেন, বিগত সময়ে যাঁরা ফ্যাসিস্ট সরকারের সদস্য, সুবিধাভোগী ও দোসর ছিলেন, তাঁদের কাছে এই সদস্য ফরম বিক্রি করা যাবে না। তাঁদের সদস্য করা তো দূরে থাক, বিএনপির সঙ্গে মিশতেও নেওয়া যাবে না।

ভোলা পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুর রব আখন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রাইসুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, এনামুল হক, বসির আহমেদ হাওলাদার, জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি অধ্যক্ষ খালেদা খানম, কৃষক দলের সভাপতি আবদুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব হেলালউদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স অন ষ ঠ ন র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ