মাদ্রাসায় যাচ্ছিল শাপলা আক্তার (১৪)। সঙ্গী ছিল ভাতিজা আবিরও (৬)। ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দেওয়ার সময় ডুবে যায় তাদের বহনকারী নৌকাটি। অন্য ছয় যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও তলিয়ে যায় শাপলা ও আবির। তাদের সঙ্গেই মারা যায় জুবায়ের (৭) নামের আরেক মাদ্রাসাছাত্র।
মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সীমান্তে বাঁশিয়া পুডিরঘাট এলাকায় ঘটে দুর্ঘটনাটি। সেদিনই শাপলার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে দিনভর তল্লাশি চালিয়েও দুই শিশুর মরদেহের সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলের অদূরে গফরগাঁওয়ের টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ভেসে ওঠে আবির ও জুবায়েরের লাশ।
এদের মধ্যে শাপলা আক্তার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগি গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে। সে ময়মনসিংহের পাগলা থানাধীন বিরই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ত। আবির তার ভাই হাবিবুর রহমানের ছেলে। আর জুবায়ের একই গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। তারাও একই মাদ্রাসার ছাত্র। বোন ও ছেলের মৃত্যুতে হাবিবুর যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি একসঙ্গে সন্তান আর বোনহারা হয়ে গেছি, এটা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে। বাড়ির কেউ মুখে খাবার পর্যন্ত তুলতে পারছে না, কেবলই কান্নার রোল।’
পাকুন্দিয়ার ইউএনও বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, প্রতি পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনও কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে ফিরতেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার ব্যানারে মিছিলে অংশ নেওয়ার পর রাতে বাড়িতে ফিরতেই তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হামীম রুশো (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আলিফ জাহান ওরফে পার্থ (২০), মো. মারুফ মিয়া (২৫)। তাঁরা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
আজ শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে ঢাকায় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা রাজধানীর উত্তরার মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।