জামায়াতে ইসলামীর অনুষ্ঠানে গিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার ‘রাজনৈতিক বক্তব্য’ দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর অনুষ্ঠানে ওই বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের সহকারী কমিশনার (পেট্রোল) শাহ আলম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা-৭ আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাজী এনায়েত উল্লাহর উদ্যোগে ওই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় খাবার বিতরণ করেন আয়োজকরা। এর আগে ঢাকা-৭ আসনে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল। অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার শাহ আলমকে পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় বক্তব্য দিতে দেখা যায়।

তিনি বলেন, ‘আগের ফ্যাসিস্ট সরকার পুরো দেশ বিক্রি করে দিয়েছে– এটা আপনারা সবাই জানেন, পত্রিকাতেও পড়েছেন। এখন একটা সুযোগ এসেছে দেশের জন্য কাজ করার। আপনারা এলাকায় কাজ করবেন, কর্মীর সংখ্যা বাড়াবেন। আমরা পুলিশ, আমাদের জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। দেশপ্রেমিক জনগণের সঙ্গে আমরা কাজ করব।.

.. এখন আমাদের একটা সুযোগ আসছে ভোট বিপ্লবের। ভোটের মাধ্যমে যেন আমরা সৎ ও যোগ্য লোককে নির্বাচিত করতে পারি, আমরা সেটা চাই।’

তার এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনা চলছে, সবাই নানারকম মন্তব্য করছেন। তারা বলছেন, সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মচারী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে বা বক্তব্য দিতে পারেন না। 

এ প্রসঙ্গে শাহ আলম সমকালকে বলেন, ‘আমি পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। হঠাৎ আমাকে বক্তব্য দিতে অনুরোধ করা হয়। তখন আমি এতিমদের উদ্দেশে কথা বলি। এর ধারাবাহিকতায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছি। এটা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। কিন্তু বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, তাতে এটাকে রাজনৈতিক বলে মনে হচ্ছে। আমি সারাজীবন মানুষের ভালোর জন্য কাজ করেছি। সেখানেও আমার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’ 
 
পুলিশ কর্মকর্তার ‘রাজনৈতিক বক্তব্য’ দেওয়ার বিষয়ে জানতে লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে বারবার কল করে ও মেসেজ পাঠিয়ে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে বিষয়টি ‘খতিয়ে দেখা হচ্ছে’ বলে তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম অন ষ ঠ ন র জন ত ক ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ