সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। দুই ম্যাচের এই সিরিজ আয়োজন করবে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএনএফএ)। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নেপালের ফুটবল ফেডারেশন।

দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচ ৬ সেপ্টেম্বর, আর দ্বিতীয়টি ৯ সেপ্টেম্বর। ম্যাচ দুটি আয়োজন করা হবে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচ উইন্ডোর সময়সূচি অনুযায়ী।

বাংলাদেশ ও নেপাল দুই দলের জন্যই ম্যাচ দুটি হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতির অংশ। সেই দিক থেকে এই দুই ফ্রেন্ডলি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবেই দেখছেন দুই দলের কোচ ও সংশ্লিষ্টরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ থেকে খাদ্য রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বিশ্বব্যাপী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে খাদ্য রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। তবে সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারার কারণে খাদ্য রপ্তানির সুযোগকে পুরোপুরি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। 

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত একটি সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে এবং আমাদের জনকল্যাণের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সবচেয়ে হলো নিরাপদ খাদ্য। অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে থাকলেও, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। আধুনিক নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমরা যদি নিরাপদ খাদ্য ও গুণমান নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক খাদ্য বাজারে আমাদের প্রবেশাধিকার বাড়বে এবং খাদ্য ও কৃষি খাতে রপ্তানি আয় অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, আধুনিক নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ এবং আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃত পরীক্ষাগার প্রয়োজন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এবং জাপান সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় একটি ঋণ চুক্তির মাধ্যমে ঢাকায় একটি আধুনিক নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জাতীয় রেফারেন্স পরীক্ষাগার হিসেবে কাজ করবে। এর পাশাপাশি একটি কার্যালয় ভবন এবং কর্মকর্তা ও খাদ্য ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। চট্টগ্রাম ও খুলনায় বিভাগীয় নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার ও কার্যালয় ভবন নির্মাণ করে দেশব্যাপী খাদ্য পরীক্ষণ ও বিচারিক কার্যক্রম সুদৃঢ় করা হবে।

সেমিনারে খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন খাদ্য শিল্পের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ