‘ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই’ নারায়ণগঞ্জ’র যাত্রা শুরু
Published: 10th, July 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের অন্যতম শহীদ মোহাম্মদ আদিলের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ‘ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই, নারায়ণগঞ্জ’ এর নবগঠিত কমিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ফতুল্লার ভূইঘর কবরস্থানে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, শহীদ মোঃ আদিলের পিতা মোঃ আবুল কালাম এবং কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আহ্বায়ক মোঃ হাবিবুর রহমান মোল্লা, যুগ্ম সদস্য সচিব আল আমিন, মুখ্য সংগঠক মোঃ বেলাল, সংগঠক মোঃ আলিফ মাহমুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত: শহীদ মোহাম্মদ আদিল গত ১৯ জুলাই দুপুরে ভূইগড় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডে আন্দোলনরত অবস্থায় বুকে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ভূইগড় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
মেধাবী শিক্ষার্থী আদিল তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। ১৬ বছর বয়সি এই কিশোর ছিল প্রবল উদ্যমী ও সাহসী। জয়ী হয়েছে একাধিক ম্যাথ অলিম্পিয়াডে। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা রাজীবের বক্তব্যের সমালোচনায় ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ ও সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে আরো স্টাাডি করে তাপরর বক্তব্য দেয়া উচিত।
তারা বলেন, আমাদের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, “আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না; বরং ইসলামকে ক্ষমতায় বসাতে চাই।”
আর ইসলামী আন্দোলন প্রচলিত রাজনীতি করে না; বরং ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য ইবাদত মনে করে রাজনীতি করে। আমাদের প্রিয় নবী (সা:) যেমন ধর্মের প্রধান ছিলেন, তেমনি রাষ্ট্রেরও প্রধান ছিলেন। তাঁর ওফাতের পর ধারাবাহিকভাবে সাহাবায়ে কেরাম রা. রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন।
তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার যে নীতি ও আদর্শ ছিল সেই আদর্শ ধারণ করে আমরা রাজনীতি করি। আমাদের আইডল হলো নবী, রাসূলগণ ও খোলাফায়ে রাশেদীন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলি যে, যদি আপনি ইসলামী আন্দোলনকে ভোট বা সমর্থন করেন তাহলে আপনার সমর্থন যাবে নবী ও রাসূলদের সমর্থনের পক্ষে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আপনারা জিয়ার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেন। আপনাদের স্লোগানই হলো আমরা সবাই জিয়ার সেনা বা মুজিব সেনা ইত্যাদি ইত্যাদি...। পক্ষান্তরে আমাদের স্লোগান হলো “ আমরা সবাই রাসূল সেনা...
নেতৃদ্বয় চ্যালেঞ্জ দিলে বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কোন কর্মীর নামে চাঁদাবাজের অভিযোগ নেই, দখলদারি ও সন্ত্রাসীর কোন মামলা নেই, নেই কোন মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা।
অপরদিকে পত্রপত্রিকায় চোখ বুলালেই দেখা যায়, অমুক স্থানে, তমুক স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিতে অমুক দলের লোক আটক।
জুলাই আন্দোলনে আমাদের নায়েবে আমীর সাহেব ৪ আগস্ট ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিশাল মিছিল নিয়ে রাজ পথে আওয়ামী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ইতিহাস স্বাক্ষী। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সুতরাং যারা আমাদেরকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন তাদেরকে চিন্তা ভাবনা করে মন্তব্য করার অনুরোধ করছি।
প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা করিনা। আমরা সকলে মিলেমিশে একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাই আসুন, কাদা ছুড়াছুড়ি না করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই। যেকোন স্বৈরাচার উত্থান হওয়ার রাস্তা চিরতরে বন্ধ করি।