টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাম লেখাল যে ১৫ দেশ
Published: 12th, July 2025 GMT
২০২৬ সালে ভারতে ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসরে খেলবে মোট ২০টি দল। ইতোমধ্যেই ১৫টি দল নিশ্চিত করে ফেলেছে বিশ্বকাপের টিকিট।
সবশেষ ইউরোপ অঞ্চল থেকে গতকাল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পেয়েছে ইতালি। তাদের সঙ্গে টিকিট কেটেছে নেদারল্যান্ডসও। এর মাধ্যমে ইউরোপ থেকে দুই দল চূড়ান্ত হয়েছে।
স্বাগতিক দেশ হিসেবে সরাসরি খেলবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। গত বিশ্বকাপের শীর্ষ আট দল হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করেছে: বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত র্যাংকিংয়ে সেরা আটের মধ্যে থাকায় র্যাংকিং বিবেচনায় বাড়ানো হয়েছে একটি স্লট। সেখানে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে জায়গা পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। আমেরিকা অঞ্চল থেকে বাছাই পেরিয়ে এসেছে কানাডা। ইউরোপ অঞ্চল থেকে এসেছে ইতালি ও নেদারল্যান্ডস। সব মিলিয়ে এই ১৫টি দল এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা।
তবে, এখনো বাকি পাঁচটি স্লট। এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চল থেকে বাছাই পেরিয়ে টিকেট নিশ্চিত করবে এই পাঁচ দল। এশিয়ান অঞ্চল থেকে টিকেট পাবে তিনটি দল। আর আফ্রিকা থেকে দুটি দল।
যে ১৫ দেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিশ্চিত: ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, ইতালি ও নেদারল্যান্ডস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট ট য় ন ট ব শ বক প ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।