দগ্ধদের চিকিৎসায় পরামর্শ দিচ্ছে ভারতীয় চিকিৎসক দল
Published: 25th, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসাসেবা দিতে ঢাকায় অবস্থান করছে ভারতীয় চিকিৎসক ও নার্সদের একটি দল। তারা দগ্ধদের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা ও চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় চিকিৎসক দল ঢাকায় তাদের সফর শুরু করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে বিস্তারিত চিকিৎসা পরামর্শের মাধ্যমে। তারা প্রত্যেক গুরুতর দগ্ধ ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন, চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে মতবিনিময় করেছেন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন জানিয়েছেন।
গত ২১ জুলাই যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়ার পর ভারতীয় চিকিৎসক ও নার্সদের এ দলকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে দুই দিন আগে এ ভারতীয় দলটি ঢাকায় পৌঁছায়। চার সদস্যের ভারতীয় দলে রয়েছেন নয়া দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সাফদার জং হাসপাতালের অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ দুজন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জন। তাদের সঙ্গে আছেন দুজন নার্স। এ দুটি হাসপাতাল বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিতে ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। সফরের শুরুতেই চিকিৎসক দল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে যান।
সোমবার ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১৭০ জন।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।