রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় মারা যাওয়া শিশু রাইসা মনিকে (৯) গ্রামবাসীর চোখের জলে চিরবিদায় দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া দক্ষিণ পাড়া ঈদগাহ ময়দানে জানাজার পর বাজড়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

রাইসা আলফাডাঙ্গার বাজড়া গ্রামের শাহাবুল শেখ ও রাবেয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে। পরিবার-পরিজন নিয়ে রাইসার বাবা শাহাবুল শেখ উত্তরার নয়ানগরে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিন ভাই–বোনের মধ্যে রাইসা মেজ। সে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বড় বোন সিনথিয়া (১৪) একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ভাই রাফসান (৪) সবার ছোট।

মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর থেকে নিখোঁজ ছিল রাইসা মনি। দুর্ঘটনার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটির মুখমণ্ডলের অংশবিশেষ দেখে রাইসা হিসেবে দাবি করেন বাবা শাহাবুল শেখ (৪৪)। মঙ্গলবার বিকেলে ডিএনএ সংগ্রহ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ডিএনএ প্রতিবেদনে রাইসার লাশ শনাক্ত হলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

আজ সকালে রাইসার লাশ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামে পৌঁছালে এলাকায় মাতম শুরু হয়। সকাল থেকেই নিহত রাইসার বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর আহাজারি চলছিল। আকস্মিক মৃত্যুতে বাক্‌রুদ্ধ গ্রামবাসী। রাইসার লাশ গ্রামে আসার পর কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। পরে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল, সেনাবাহিনীর সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

রাইসার চাচা ইমদাদুল শেখ বলেন, ‘রাইসাকে আজ ভোররাতে গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। সকাল সোয়া ৯টায় জানাজা সম্পন্ন করে স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।’

স্থানীয় গোপালপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ওবায়দুর রহমান বলেন, রাইসা মনির অকালমৃত্যুতে পুরো এলাকার মানুষ শোকে হতবিহ্বল। তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর হৃদয়বিদারক দৃশ্য তৈরি হয়। এমন কোনো মানুষ নেই, কাঁদেননি। গ্রামবাসী এমন মৃত্যু আগে কখনো দেখেননি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আলফ ড ঙ গ গ র মব স

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে মদ খেয়ে রাস্তায় মাতলামি, ৫ মাতাল আটক  

মদ খেয়ে রাস্তায় মাতলামি করার সময় বন্দরে  ৫ মাতালকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত মাতালরা হলো বন্দর থানার চৌধুরী বাড়ি এলাকার ইদ্রিস আলী মিয়ার  ছেলে সাগর (৩০) সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার মৃত আব্দুল হাকিম মিয়ার ছেলে বাচ্চু (৫২) একই এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে মামুন (৪০)।

সোনাকান্দা কবরস্থান রোড এলাকার মৃত মনছুর আলী ছেলে ইকবাল হোসেন (৫০) ও বাগদোবাড়ীয়া এলাকার ইমরান মিয়া মিয়ার ছেলে স্বপন (২৪) ।

পুলিশ আটককৃতদের রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত শনিবার (২৬ জুলাই)  দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ কবরস্থান সংলগ্ন পাঁকা রাস্তার উপরে অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা গভীর রাতে মাতাল অবস্থায়  রাস্তায় হৈচৈ ও জনমনে বিরক্তি সৃষ্টি করার সময় এদেরকে আটক করা হয়।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেনীতে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, দর্জি নিহত
  • রাজবাড়ীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কৃষকের হাসপাতালে মৃত্যু
  • বন্দরে মদ খেয়ে রাস্তায় মাতলামি, ৫ মাতাল আটক