সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল হয়েছে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথ। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বিচ্ছিন্ন গার্ড ব্রেক বগি উদ্ধার করা হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ তারেক।

কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের গার্ড ব্রেক বগির হুক ভেঙে গেলে মূল ট্রেনের সঙ্গে বগিটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে কেউ হতাহত হননি। তবে এই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়নি।

আজ বেলা ৩টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ মিনিট আটকে ছিল কক্সবাজার এক্সপ্রেস। পরে বিচ্ছিন্ন হওয়া বগিটি সেখানে রেখে মূল ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।

গার্ড ব্রেক বগিতে মূলত ট্রেনের পরিচালক বা গার্ড থাকেন। আর এই বগিতে খাবারও থাকে। কক্সবাজার এক্সপ্রেস আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার স্টেশন ছেড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর এই ট্রেন ঢাকায় যাওয়ার কথা।

রেলওয়ের গোমদণ্ডী রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ তারেক প্রথম আলোকে বলেন, গোমদণ্ডী রেলস্টেশন পার হওয়ার পর কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একদম শেষের বগিটির হুক ভেঙে যায়। এ কারণে প্রায় ৩০ মিনিট কক্সবাজার এক্সপ্রেস থেমে ছিল সেখানে। পরে বগিটিকে রেখে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়।

এদিকে আজ বেলা ৩টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়ার কথা ছিল প্রবাল এক্সপ্রেস। কিন্তু এ দুর্ঘটনার কারণে তিন ঘণ্টা পর এই ট্রেন ছেড়ে যায়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ