নেইমারের সঙ্গে ঝামেলা: সেই ভক্ত মাফ চাইলেও তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ সান্তোসের
Published: 26th, July 2025 GMT
কদিন ধরেই নেতিবাচক কারণে আলোচনার কেন্দ্রে নেইমার। গত বৃহস্পতিবার ইন্তারন্যাসিওনালের বিপক্ষে ২–১ গোলে হারের ম্যাচে নেইমার বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এক দর্শকের সঙ্গে। সেদিন পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল যে একপর্যায়ে সান্তোস তারকা একটি অকথ্য বাক্য ব্যবহার করে ওই দর্শককে বলেন, ‘পারলে এখানে আয়। নয় তো গোল্লায় যা!’
প্রায় ৩০ সেকেন্ড তর্কাতর্কির পর সান্তোস গোলকিপার জোয়াও পাওলো নেইমারকে সরিয়ে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও এই ঘটনা আরও গড়িয়েছে। সর্বশেষ এই ঘটনায় সান্তোসের সমর্থক আলেক্স স্যান্দার সিলভার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে সান্তোস। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।
সান্তোসের ভাষ্যমতে, একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তে ম্যাচের টিকিট সংগ্রহে ‘সম্ভাব্য অনিয়ম’ ধরা পড়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, আলেক্স সিলভা ক্লাবের সদস্য নন এবং তিনি ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছেন ‘নিজের নয়, এমন নথিপত্র ব্যবহার করে’।
সান্তোস জানিয়েছে, তারা সমর্থকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে, কারণ ‘ফ্যান স্ট্যাটিউট’ (এমন নিয়মাবলি বা আইন যার মাধ্যমে ক্লাব ও সংগঠনগুলো তাদের ভক্ত ও দর্শকদের আচরণ, প্রবেশাধিকার, নিরাপত্তা এবং দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে) অনুযায়ী প্রতারণার মাধ্যমে কোনো খেলাধুলার আয়োজনে প্রবেশ করলে সেই ব্যক্তিকে দায়ী করার বিধান সেখানে রয়েছে। ক্লাবটি জানিয়েছে, মামলার বিষয়ে আরও বিবৃতি দেওয়ার আগে তারা পুলিশের তদন্তের ফল জানতে অপেক্ষা করবে।
আরও পড়ুন২০২৫ সালে নেইমার : গোল ৪, তর্কে জড়ানো ৫২৪ জুলাই ২০২৫নেইমারের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে আলোচনার কেন্দ্রে আসা সাও পাওলো শহরের বার্গার দোকানের মালিক সিলভার জীবন এই পুলিশি অভিযোগের পর আরও জটিল হয়ে উঠল। এমনিতেই নেইমার–ভক্তদের তোপের মুখে ছিলেন তিনি।
এর আগে সংবাদমাধ্যমকে সিলভা বলেছিলেন, ‘আমার ইনস্টাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেকেই আমাকে হুমকি দিয়ে বলছে, তারা আমার ব্যবসা জ্বালিয়ে দেবে। তারা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকেও খুঁজে পেয়েছে, আর এসব থামছে না।’
সিলভা আরও বলেন, ‘আজ আমার জীবন যেন এক ঝড় বয়ে গেল। আমি সান্তোসের সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম। আমি শুধু আমার দাবি জানিয়েছিলাম। আমার ছেলেকে আক্রান্ত করা হয়েছে। আমার ১৫ বছরের ভাতিজাকে মারধর করা হয়েছে এবং তার চোখ কালো হয়ে গেছে। হয়তো এটা আমার সঙ্গে নেইমারের যা ঘটেছে, সে কারণে হয়েছে।’
আরও পড়ুননেইমারের মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা০৮ জুন ২০২৫একই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়েছেন নেইমারও, ‘উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যখন কেউ অন্যায়ভাবে আমাকে অপমান করে, তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমি কখনোই মাঠে সমর্থকের সঙ্গে তর্ক করব না, কারণ তাদের অধিকার আছে আমার খেলা নিয়ে মতামত জানানোর। ভালো বা খারাপ খেলেছি বলা এবং দুয়োও দিতে পারে। কিন্তু যেটা তারা করতে পারে না, সেটা হলো আমাকে এমনভাবে অপমান করা, যেভাবে করা হয়েছে (দুর্ভাগ্যবশত, তখন আমি শুধু তার কথাই শুনেছি, ম্যাচও থেমে গিয়েছিল)। সে বলেছে, আমি আমার বাবার সঙ্গে অর্থের জন্য কাজ করি। সে আমার পরিবার ও বন্ধুদের নিয়েও অসত্য অভিযোগ তুলেছে। আমি দুঃখিত, কিন্তু এ পরিস্থিতিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ ছিল না।’
নেইমার আরও বলেন, ‘আমি সান্তোসে এসেছি ক্লাবকে মাঠের ভেতর-বাইরে যতটা সম্ভব সাহায্য করার জন্য। আর যখনই ভক্তরা মনে করবে আমি আর সাহায্য করতে পারছি না বা ক্লাবের ক্ষতি করছি, আমি প্রথমেই আমার জিনিসপত্র গুছিয়ে চলে যাব। সান্তোস ফুটবল ক্লাব আমার জীবনের এক বড় ভালোবাসা এবং যত দিন আমার শক্তি থাকবে, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব ক্লাবকে যোগ্য জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর স থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম