চট্টগ্রাম বন্দরে ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি চালুর ফলে সেবা পেতে হয়রানি প্রায় কমে যাবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
Published: 27th, July 2025 GMT
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি চালুর ফলে ব্যবহারকারীদের সেবা পেতে হয়রানি প্রায় কমে যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নের পথে এই ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি একটি বড় ঘটনা।
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ হোটেলে এক অনুষ্ঠান উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এই সেবা চালুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল পরিশোধের পদ্ধতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) সহযোগিতায় স্বয়ংক্রিয়, নিরাপদ ও স্বচ্ছ এই ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি চালু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে খারাপ ও অসুস্থ অপপ্রচার চালানো হয়েছে। বিভিন্ন অপপ্রচার চলেছে। কিন্তু সে রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। বন্দর থেকে কারও চাকরি যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না।
বন্দরে টেবিলে টেবিলে ঘুরে ঘুরে কাজ করা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে নিজেও বিরক্ত জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিদেশের বন্দরগুলো কীভাবে কাজ করে, তা দেখেছি। সে অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর নয় শুধু সব বন্দরকে নিয়ে কাজ করতে চাই। এ জন্য আমরা নৌবন্দর পরিচালনা ও উন্নয়নের কৌশল (মেরিটাইম সি পোর্ট স্ট্র্যাটেজি) তৈরি করছি।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্পে ব্রেক ওয়াটার নির্মাণে বিশ্বব্যাংক ৬৮০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। ইতিমধ্যে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে বিশ্বমানের বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি চালুর কারণে বন্দর সন্দেহাতীতভাবে অনেক এগিয়ে যাবে। এতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা থেকে ব্যবহারকারীরা মুক্তি পাবেন।
ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বলেন, আজ ইতিহাস তৈরি হল। দশকের পর দশক বন্দর ব্যবহারকারীরা হাতে-কলমে (ম্যানুয়ালি) কাজ করতেন, যা অনেক সময়সাপেক্ষ। আজ থেকে সে দিনের অবসান ঘটছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের বর্তমান পেমেন্ট পদ্ধতি যথেষ্ট দক্ষ হলেও তা মূলত ম্যানুয়াল পদ্ধতি নির্ভর। ইস্টার্ন ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্বের (পার্টনারশিপের) মাধ্যমে আমরা একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়, সুরক্ষিত এবং স্বচ্ছ পেমেন্ট কাঠামো উপহার দিতে পেরেছি।
ইবিএলের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, তাদের এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকেরা যেকোনো স্থান থেকে ভ্যাট, এআইটি, ওয়েলফেয়ার চার্জসহ অন্যান্য পেমেন্ট সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফি পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত হবে। অডিটের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। আর বন্দরের জট এবং পরিচালন ব্যয়ও হ্রাস পাবে।
অনুষ্ঠানে ইবিএলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও ওসমান এরশাদ ফয়েজ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং করপোরেট কিং প্রধান রিয়াদ মাহমুদ চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ট্রেজারি বিভাগের প্রধান মেহদী জামান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিং প্রধান এম.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন উপদ ষ ট অন ষ ঠ ন ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
সাইয়ারার একটি দৃশ্যের জন্য সকাল ছয়টায় মামা মহেশ ভাটের ঘুম ভাঙান মোহিত
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া মোহিত সুরি পরিচালিত রোমান্টিক বলিউড ছবি ‘সাইয়ারা’ দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আহান পাণ্ডে ও আনীত পড্ডা অভিনীত এই ছবি বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে। ছবির সাফল্যে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন পরিচালক মোহিত সুরি। সম্প্রতি এই সিনেমা নিয়ে তিনি একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ছবির একটি দৃশ্য তাঁকে মানসিকভাবে এতটাই অস্থির করে তুলেছিল যে সকাল ছয়টায় তিনি তাঁর মামা, নির্মাতা ও প্রযোজক মহেশ ভাটের ঘুম ভাঙান।
‘সাইয়ারা’ সিনেমার দৃশ্যে আহান পান্ডে এবং অনীত পড্ডা