চীন–কোরিয়াকে পেয়ে ঋতুপর্ণা বললেন ‘আমরা হাল ছাড়ব না’
Published: 29th, July 2025 GMT
আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এএফসি নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের গ্রুপে পড়েছে এশিয়ার দুই সফল দল চীন ও উত্তর কোরিয়া। অন্য প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান। প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী দলকে পেলেও ভালো কিছু করার আশা ছাড়ছেন না বাংলাদেশের তারকা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা।
মিয়ানমারে বাছাইপর্বে ৫ গোল করেছিলেন ঋতুপর্ণা। বর্তমানে ভুটানের ক্লাব পারো এফসিতে খেলছেন তিনি। সেখান থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমরা শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলব। এতে আমাদের অভিজ্ঞতা আরও বাড়বে। আমরা হাল ছাড়ব না। যদিও কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হবে।’
মেয়েদের এশিয়ান কাপে সবচেয়ে সফল দল চীন। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৪ বার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ৯ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চীনা মেয়েরা। শুধু এশিয়া নয়, বিশ্ব ফুটবলেও চীনের বেশ দাপট। ১৯৯১ থেকে আটবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে একবার রানার্সআপ হয়েছে দেশটি। ৩ মার্চ এই চীনের বিপক্ষে খেলেই এশিয়ান কাপে অভিষেক হবে বাংলাদেশের।
৬ মার্চ দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ র্যাঙ্কিংয়ের ৯ নম্বর দল উত্তর কোরিয়া। ১৯৮৯ থেকে এখন পর্যন্ত ১০ বার এশিয়ান কাপ খেলা দেশটি ২০০১, ২০০৩ ও ২০০৮ সালে শিরোপা জিতেছে। এই দুই দলের চেয়ে উজবেকিস্তান তুলনামূলক কম শক্তিশালী। তারা পাঁচবার এই টুর্নামেন্টে খেললেও কোনোবারই গ্রুপ পর্বের চৌকাঠ পেরোতে পারেনি। ৯ মার্চ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
তিন দলের মধ্যে একমাত্র উজবেকিস্তানের সঙ্গেই ২০১১ সালে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলেছেন মেয়েরা। সেই ম্যাচটি ৩-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। যদিও অতীত নিয়ে ভাবতে চান না ঋতুপর্ণা। উল্টো ভয় তাড়িয়ে সুন্দর ফুটবল খেলার কথাই বললেন তিনি, ‘আসলে ভয়ের কিছু নেই। আমরা তো বাছাইয়েও বড় বড় দলের সঙ্গে খেলেছি। এখন কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে খেলব। যতটা সম্ভব ভালো করার চেষ্টা থাকবে।’
আরও পড়ুননারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের গ্রুপে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন ৩ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ভেন্যুতে হবে এশিয়ান কাপের ২১তম আসর। সেই লড়াইয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আট দলের সুযোগ থাকবে ২০২৭ ব্রাজিল বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে খেলার।
২০২৬ সালে প্রথমবার নারী এশিয়ান কাপ খেলবে বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।